বিশ্বের ৫ টি রহস্যময় দরজা যা আজ অবধি খোলা সম্ভব হয়নি
বিশ্বের আনাচে-কানাচে এমন ঘটনা ঘটে যার উত্তর বিজ্ঞানের পক্ষেও দেওয়া সম্ভব হয় না। বিশ্বের এমন পাঁচটি দরজা আছে, যা খোলা যায়নি।
১) তাজমহল-»
বিশ্বের এক অন্যতম দর্শনীয় স্থান তাজমহল। দিল্লির আগ্রায় অবস্থিত তাজমহল শুধুমাত্র ভারতবর্ষেই নয়, গোটা বিশ্বের পর্যটক এর কাছে একটা বিস্ময়কর পর্যটন কেন্দ্র। সম্রাট শাহজাহান তাঁর মৃত পত্নী মমতাজের স্মৃতির উদ্দেশ্যে এই অসাধারণ শ্বেত মর্মর সৌধটি নির্মাণ করেন। এই শব্দটি নিয়ে মানুষের বিস্ময়ের শেষ নেই। টানা ২২ বছর সময় লেগেছিল এই সৌধটি নির্মাণ করতে। তাজমহলের মধ্যে থাকা হাজারেরও বেশি গোপন ঘর আছে যা এখনো তালাবন্দি। আজ পর্যন্ত সেই দরজা খুলতে কেউ পারেনি।
২) পদ্মনাভস্বামী মন্দির-»
কেরালার একটি জনপ্রিয় মন্দির হল পদ্মনাভস্বামী মন্দির। উত্তর ভারতের মতো দক্ষিণ ভারতের মন্দির গুলি ভারতের পর্যটনের মূল আকর্ষণ, এ কথা বলা যেতেই পারে। একেকটা মন্দির একেক রকম বিশেষত্বে মোড়া। এই মন্দিরেও এমন একটি দরজা আছে যা আজ পর্যন্ত খোলা সম্ভব হয়নি। এই দরজাটির আকৃতিও একটু অদ্ভুত ধরনের। কতগুলি কৃত্রিম সাপ একে জড়িয়ে রয়েছে। এর কোনো রকম তালা, ছিটকিনি কিছুই নেই। কিন্তু তাও দরজাটি এখনো খোলা সম্ভব হয়নি।
৩) টেরাকোটা সেনা-»
চীনের জিনওয়ারে ‘টেরাকোটা আর্মি’ আজও মানুষের কাছে খুবই বিস্ময়কর। আজ থেকে প্রায় ৪৫ বছর আগে মাটির নিচে আরো একবার জীবন্ত হয়ে উঠেছিল এই টেরাকোটা সেনারা। এই সেনারা মাটির এবং ব্রোঞ্জের তৈরি। দূর্গদ্বার আগলে পাহারা দিচ্ছেন তারা। আর এমনি দিনের পর দিন ধরে হয়ে আসছে। মাটির নীচ থেকে পাওয়া যায় প্রায় ৮ হাজার সেনা ১৩০টি রথ, ৫২০টি ঘোড়া এবং ১৫০ ঘোড়সওয়ার সেনার মুর্তি। এই সেনাদের মাঝে রয়েছে একটি দরজা। তবে এখানে দরজা থাকার কি কারণটা এখনো উদ্ধার করতে পারেননি ভূতত্ত্ববিদরা।
৪) স্ফিংস অফ গিজা-»
মিশরের পিরামিড বা স্ফিংস মানুষের তৈরি এমন এক সৃষ্টি যা এত আধুনিক যুগে দাঁড়িয়েও তাবড় তাবড় আর্কিটেক্ট এর কাছে বিষয় এর বস্তু। ‘স্ফিংস অফ গিজায়’ রয়েছে এমন একটি বন্ধ ঘর যে ঘরের দরজা আজ পর্যন্ত খোলা সম্ভব হয়নি। তবে সেখানকার প্রশাসনও চায়না বন্ধ ঘরের পেছনের রহস্য উন্মোচিত হোক।
৫) বানফ স্ফ্রিং হোটেল-»
কানাডায় এমন একটি হোটেল রয়েছে, যার দরজা এখনো পর্যন্ত খোলা সম্ভব হয়নি। তবে এই হোটেলের ঘরে রয়েছে একটি রহস্যময় ঘটনা। শোনা যায়, অনেকদিন আগে এই ঘরে একটি পরিবার এসে উঠেছিলেন। পরিবারের ছিলেন বাবা, মা আর তাদের ছোট্ট শিশু। তবে শোনা যায়, ঘুমের মধ্যেই নাকি ওই ব্যক্তি তার স্ত্রী ও সন্তানকে খুন করে নিজেও আত্মহত্যা করেছিলেন। তারপর থেকেই ওই দরজাটা খোলা সম্ভব হয়নি। কারণ আশপাশ থেকে বাচ্চা শিশু কন্যার কান্নার আওয়াজ প্রায়ই শোনা যায়।