সুশান্ত সিং রাজপুত (Sushant Singh Rajput)-এর মৃত্যুর পর থেকেই এনসিবি-র নজরে রয়েছে বলিউড। বলিউডের অন্দরে মাদকের আদান-প্রদান সকলের নজরে এসেছে। ইতিমধ্যে মাদক কান্ডে গ্রেফতার হয়েছেন বলিউড কিং শাহরুখ খান (Shahrukh Khan)-এর পুত্র আরিয়ান খান (Aryan Khan) ও তাঁর দুই বন্ধু মুনমুন ধামেচা (Munmun Dhamecha) এবং আরবাজ মার্চেন্ট (Arbaaz Merchant)। এর আগে বাড়িতে গাঁজা রাখার অভিযোগে গ্রেফতার হয়েছিলেন কমেডিয়ান ভারতী সিং (Bharti Singh) ও হর্ষ লিম্বাচিয়া (Harsh Limbachiya)। বৃহস্পতিবার হনসল মেহতা (Hansal Mehta) ভারতে গাঁজাকে বৈধতা দেওয়ার পক্ষে দাবি জানালেন।
আরিয়ান গ্রেফতার হওয়ার পর থেকেই বলিউডের খ্যাতনামা পরিচালক হনসল মেহতা (Hansal Mehta) শাহরুখের পাশে দাঁড়িয়েছেন। বৃহস্পতিবার তিনি টুইট করে বলেন, ভারতে যেন আর গাঁজাকে নিষিদ্ধ করে না রাখা হয়। তাঁর মতে, গাঁজাকে বৈধতা দেওয়া উচিত। হনসল লিখেছেন, বহু দেশে বর্তমানে গাঁজা সেবন নিষিদ্ধ বা আইনত দন্ডনীয় অপরাধ নয়। কিন্তু ভারতে মাদক আটকানোর থেকেও বেশি গাঁজা আটকানোর দিকে মন দেওয়া হয়। এতে অযথা হয়রানি হয়। সেকশন 377-এর মতো আইনেও পরিবর্তন প্রয়োজন। পুজা ভাট রিটুইট করে বলেন, তিনি নিশ্চিত, আইন আবারও কোনো নতুন হাস্যকর জিনিস বার করবে।
2 রা অক্টোবর মুম্বই-গোয়া প্রমোদতরী কর্ডেলিয়ার রেভ পার্টি থেকে আরিয়ান সহ মোট আট জনকে আটক করা হয়। মুনমুন ধামেচার স্যানিটারি ন্যাপকিনের ভেতর থেকে ড্রাগ পিলস উদ্ধার করেন এনসিবি-র মহিলা আধিকারিকরা। আরবাজ মার্চেন্টের কাছে ড্রাগস পাওয়া যায়। কিন্তু আরিয়ান ও বাকি ছয় জনের কাছে কোনো মাদক পাওয়া না গেলেও টানা ষোলো ঘন্টার জেরায় আরিয়ান স্বীকার করেন, তিনি মাদক সেবন করেছেন। এমনকি তা নিয়ে তিনি অনুতপ্ত। এরপরেই গ্রেফতার করা হয় আরিয়ানকে। বাকি ছয় জনকে প্রমাণের অভাবে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে আরিয়ানের মোবাইল। সেই মোবাইলের হোয়্যাটসঅ্যাপ চ্যাট খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
অপরদিকে বারবার নামঞ্জুর হয়েছে আরিয়ানের জামিনের আবেদন। তিনি এই মুহূর্তে রয়েছেন পুনের আর্থার রোড জেলে। জেলের রুটিন মেনে চললেও এই মুহূর্তে আরিয়ান জেলের খাবারে অভ্যস্ত হতে পারছেন না। তবে তিনি জেল আধিকারিকের কাছে বিশেষ কিছুই চাইছেন না। জেলের ক্যান্টিনের পার্লে জি বিস্কুট ও জল খেয়েই দিন গুজরান করছেন তিনি। ইতিমধ্যে জেলের নিয়ম অনুযায়ী ক্যান্টিন থেকে খাবার কিনে খেতে শাহরুখ আরিয়ানকে সাড়ে চার হাজার টাকা পাঠিয়েছেন। সংশোধনাগারের নিয়ম অনুযায়ী, সর্বোচ্চ এই পরিমাণ টাকাই পেতে পারেন আরিয়ানের মতো বন্দীরা। কিন্তু সেই টাকা খরচ করতে তাঁকে নিতে হবে জেল কর্তৃপক্ষের অনুমতি। তবে এনসিবি-র তদন্তে সম্পূর্ণ সহযোগিতা করছেন আরিয়ান।
View this post on Instagram