কোয়েল মল্লিক (Koel Mallick) বরাবর ফিটনেস সচেতন। মাতৃত্বকালীন ওজন তিনি খুব অল্প সময়ের মধ্যেই ঝরিয়ে ফেলেছিলেন। তবে এবার ভবানীপুরের মল্লিক বাড়িতে হয়েছে ডবল সেলিব্রেশন। পুজোর ঠিক আগেই কোয়েলের খুড়তুতো ভাই দেবজয় (Debjoy)-এর বিয়ে হয়েছে। তারপরেই মল্লিকবাড়িতে শুরু হয়েছে ঐতিহ্যবাহী দুর্গাপুজোর হইচই। কোয়েল সপরিবারে অংশগ্রহণ করেছিলেন পারিবারিক পুজোয়। তবে দুর্গাপুজো শেষ হতেই আবারও নিজের নিয়মানুবর্তিতাকে বেছে নিয়েছেন তিনি।
মা হওয়ার পর খুব অল্প সময়ের মধ্যেই ওজন ঝরিয়ে নিজের ফিটনেস ফিরিয়ে এনেছিলেন কোয়েল। এবার তার খুঁটিনাটি টিপস সম্পর্কিত ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করলেন তিনি। তার সঙ্গেই শেয়ার করেছেন নিজের ফিটনেস সিক্রেট এক্সারসাইজ। কোয়েল সবাইকে জিজ্ঞাসা করেছেন, পুজো কেমন কাটল! তাঁর সবচেয়ে প্রিয় হল পুজোর ভুরিভোজ। তেল চপচপে লুচি বা ফাউ পাওয়া ফুচকা ছাড়া তাঁর পুজো ঠিক জমে না। তবে পুজোর পরেই ফিটনেস রুটিনে ফিরতেই হয়েছে কোয়েলকে। ব্যালান্সড ডায়েট অনুসরণ করতে হচ্ছে।
কোয়েলকে অনেকেই জিজ্ঞাসা করেছেন, প্রকৃতির নিয়মে যে মাতৃত্বকালীন ফ্যাট শরীরে জমেছিল, তা এত তাড়াতাড়ি তিনি কিভাবে ঝরিয়েছেন। কোয়েল জানিয়েছেন, প্রসেসটা কঠিন হলেও অসাধ্য ছিল না। তবে কষ্টসাধ্য ছিল। মা হয়ে যাওয়ার পর সব দিক বজায় রেখে নিজের জন্য সময় বার করতে হয়ে। আলমারি ভর্তি জিনস, টপ ও অন্যান্য ড্রেস যখন ফিট করছিল না, তখন কোয়েলের কাছে চ্যালেঞ্জ ছিল নতুন না কিনে শেপে ফিরে আসার। অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় কোয়েল প্রতি দিন এক ঘন্টা হাঁটতেন ও যোগাসন করতেন। তাতেও শেপে ফেরার ব্যাপারটা তিনি যতটা সহজ ভেবেছিলেন, ততটা ছিল না। কারণ বর্তমান পরিস্থিতিতে চিকিৎসকরা ইমিউনিটি বাড়ানোর দিকেও জোর দিচ্ছেন।
তবে জিম হল কোয়েলের মন ভালো রাখার জায়গা। কারণ এক্সারসাইজের ফলে হ্যাপি হরমোন রিলিজ হয়। তবে ওভারডু বা আন্ডারডু করা উচিত নয়। এক্সারসাইজটা উপভোগ করতে হবে। কোয়েল খেতে ভালোবাসেন। সব কিছুই খান, কিন্তু পরিমিত পরিমাণে। সেদ্ধ না খেলেও পরিমাণ মতো তেল-মশলা খান। প্রোটিন ও সব্জি খান। মাতৃত্বকালীন ওজন ঝরানোর সময় চিট মিল করতেন তিনি। কারণ নিজের উপর কঠোর হয়ে শেপে ফেরা যায় না। সেই কারণে খাওয়াটা ব্যালান্স করে নিতে হয়। পর্যাপ্ত ঘুম প্রয়োজন। পরিমাণ মতো জল খাওয়া দরকার। কোয়েল মনে করেন, সর্বোপরি আনন্দে থাকতে হবে, সুস্থ থাকতে হবে।
View this post on Instagram