শৈশবে মা-বাবার পেশা নিয়ে শিশুরা একটু ধন্দে থাকেন। যেমন অধিকাংশ ইঞ্জিনিয়ারের সন্তানরা ছোটবেলায় ভাবেন, তাঁদের মা-বাবারা ইঞ্জিন চালান , তেমনই একসময় সারা আলি খান (Sara Ali khan)-এরও মা অমৃতা সিং (Amrita Singh) ও বাবা সইফ আলি খান (Saif Ali Khan)-কে অত্যন্ত খারাপ মনে হত। সারা ভাবতেন, তাঁর মা অমৃতা পর্ণ বানান এবং বাবা সইফ খারাপ শব্দ উচ্চারণ করেন।
সারার এই কথা মনে হওয়ার কারণ অত্যন্ত অদ্ভুত। ‘ওমকারা’ ফিল্মে ‘ল্যাংড়া ত্যাগী’-র চরিত্রে অভিনয় করে রীতিমত সাড়া ফেলে দিয়েছিলেন সইফ। তাঁর অভিনয় প্রশংসিত হয়েছিল। কিন্তু সারা সেই অভিনয়কে সত্যি ভেবে বসেছিলেন। তাঁর মনে হয়েছিল, তাঁর বাবা শুধু খারাপ শব্দ ছাড়া আর কিছুই বলতে জানেন না। অপরদিকে অমৃতা ‘কলযুগ’ ফিল্মে নেগেটিভ চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন। তাঁর অভিনয়ও সমানভাবে প্রশংসিত হয়েছিল। ‘কলযুগ’-এ অমৃতার চরিত্রটিতে ছিল যৌন দৃশ্যের আধিক্য। ফলে সারার মনে হয়েছিল তাঁর মা পর্ণ বানান।
View this post on Instagram
‘ওমকারা’-র জন্য সইফ ও ‘কলযুগ’-এর জন্য অমৃতা সেরা অভিনেতা-অভিনেত্রীর পুরস্কার পেয়েছিলেন। কিন্তু সারা অবাক হয়ে গিয়েছিলেন, দুটো খারাপ মানুষ কি করে পুরস্কার পেতে পারেন! কেনই বা তাঁরা সেরা হলেন! তবে এই প্রশ্নগুলির উত্তর এখন সারা অবশ্যই জানেন।
View this post on Instagram
সারার নয় বছর বয়সে সইফ ও অমৃতার বিবাহ বিচ্ছেদ হয়ে যায়। হঠাৎই একদিন তিনি ও তাঁর ভাই ইব্রাহিম (Ibrahim Ali Khan) জানতে পারেন, তাঁদের বাবা আর তাঁদের সঙ্গে থাকবেন না। কিন্তু তাঁরা শুধুমাত্র তাঁদের মায়ের সাথে থাকবেন। এই কথা জানার পর তাঁদের মন খারাপ হলেও পরবর্তীকালে ধীরে ধীরে তাঁরা বুঝতে পারেন তাঁদের মা-বাবা একসঙ্গে আর কোনোদিন থাকবেন না। অমৃতা একাই নিজের শক্তিতে বড় করেছেন সন্তানদের। তিনি সইফের কাছ থেকে নিজের বা সন্তানদের জন্য কোনো ভরণপোষণ নিতে চাননি। পরবর্তীকালে সইফ দ্বিতীয় বিয়ে করলেও অমৃতার অবলম্বন তাঁর সন্তানরাই।