‘শ্রীদেবী’ যার নাম শুনলেই সবার আগে এখন ভেসে ওঠে তাঁর অকাল প্রয়াণ। শ্রীহীন হয়ে যাওয়া গোটা বলিউড আজও এই সুন্দরীর অপেক্ষায়। যদিও রেখে গেছেন তাঁর দুই ছায়াসঙ্গী জাহ্নবী এবং খুশি। ২০১৮ র ২৪ ফেব্রুয়ারি সত্যি ভোলার নয়। আচমকা এক দুঃসংবাদ হিলিয়ে দেয় বলিউডকে। শোকস্তব্ধ বলিউডের মাঝে মিঠুন চক্রবর্তী কোথায় এই নিয়েও অনেক প্রশ্ন উঠেছিল। হ্যাঁ আমরা কথা বলতে শুরু করেছি এক হারিয়ে যাওয়া প্রেম কাহিনী নিয়ে। এ হল ৮০–র দশকের প্রেম কাহিনী। যেই প্রেম বিয়ে পর্যন্ত শেষ হয়েও আবার বিচ্ছেদের পথে হাঁটে। আজ্ঞে হ্যাঁ, বনি কাপুরের আগে শ্রীদেবী বিয়ে করেছিলেন বাংলার মিঠুন চক্রবর্তীকে। তামিলনাড়ুর মেয়ে বাংলার বৌদি হয়ে উঠতে পারতেন। কিন্তু সেগুড়ে বালি। বনি কাপুর এসে সব কিছু নস্যাৎ করে দেন।
মৃগয়া চলচ্চিত্র দিয়ে নিজের কেরিয়ার শুরু করেছিলেন মিঠুন। প্রথম ছবিতে জাতীয় পুরস্কার পেয়েছিলেন তিনি। কিন্তু তাতে কি যোগিতা বালি না থাকলে আজকের মিঠুন আর সেই মিঠুন হয়ে উঠতে পারতেন না। তাই মিঠুনের উপর সম্পূর্ণ কর্তৃত্ব যোগিতা বালি নিজের হাতেই রেখেছিলেন।
বিবাহিত হওয়া সত্ত্বেও শ্রীদেবীর সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছিলেন মিঠুন একথা জানার পরে একটি সাক্ষাৎকারে যোগিতা জানান মিঠুন দ্বিতীয় স্ত্রী আনলে কোন সমস্যা নেই। কিন্তু অফ ক্যামেরায় তিনি আত্মহত্যা করতে গিয়েছিলেন মিঠুনকে আটকাতে। সাফল্য পেয়েছিলেন। ভেঙ্গে যায় মিঠুন-শ্রীদেবী’র প্রেম। সংসার বাঁচাতে মিঠুন বাধ্য হন শ্রীদেবীর সঙ্গে সম্পর্ক বিচ্ছেদে।
যেদিন থেকে শ্রীদেবী বুঝতে পারলেন যে মিঠুন তাঁর সংসার ছেড়ে বেড়িয়ে আসবেন না, সেদিন থেকেই নিজেকে গুটিয়ে নেন অভিনেত্রী। খুব সম্ভবত ‘গুরু’ ছবির শেষ দৃশ্যেই জীবনে শেষবারের মতো দেখা হয় দুজনের। এরপর আর কোন সিনেমায় দুইজনকে একসঙ্গে দেখা যায় নি কখনো। ব্যর্থ প্রেমের কষ্ট নিয়ে ঘর বাঁধেন বনি কাপুরের সঙ্গে। এই বনি কাপুরও বিবাহিতা ছিলেন। বনি বৈবাহিক সম্পর্কে আবদ্ধ ছিলেন মোনা কাপুরের সাথে, অথচ মনে মনে অসম্ভব চাইতেন সুন্দরী ‘শ্রীদেবী’কে। একথা অভিনেত্রী জানতেন, যেহেতু তিনি মিঠুনের প্রেমে হাবুডুবু খাচ্ছিলেন তাই বনি কাপুরকে প্রথমদিকে একদমই পাত্তা দেননি তিনি। পরবর্তীতে ভাঙ্গা মন নিয়ে সেই বনি কাপুরের গৃহিণী হয়েই এক কপাল সিঁদুর নিয়ে মাত্র ৫৪ বছরে দুবাইয়ে প্রয়াত হলেন ভারতের প্রথম মহিলা সুপারস্টার শ্রীদেবী।