Bengali SerialHoop Plus

Abhishek Bose: নতুন ও পুরোনো দুই প্রেম নিয়েই মুখ খুললেন ‘গঙ্গারাম’ অভিষেক

ফেলে আসা দিন বা স্মৃতি বা মানুষ যদি মধুময় হয় তাহলে তা‌ নিয়ে নানান শব্দ, কথা মনে উকি দেয়, কিন্তু, যদি সেই স্মৃতি মন খারাপ করিয়ে দেওয়ার মতন হয় বা সেই মানুষ যদি মন ভাঙার কারণ হয় তাহলে শব্দ হারিয়ে যায়। কিন্তু, এবারে মনের কথা মুখে আনলেন বাংলা ধারাবাহিক জগতের পরিচিত মুখ অভিষেক বসু (Abhishek Bose)। তিনি তার ব্যাক্তিগত জীবনের প্রেম ও বিরহ নিয়ে প্রকাশ্যে সংবাদমাধ্যমের সামনে উজাড় করে কথা বলেন। এক বিশিষ্ট সংবাদমাধ্যমে তিনি সাক্ষাৎকার দেন তার অতীত জীবনের প্রেম আর জীবনের নতুন বসন্ত নিয়ে, তারই টুকরো কথা আমরা তুলে ধরছি।

অভিষেক-দিয়ার সম্পর্ক বেশ কিছু বছরের। দিয়া মুখোপাধ্যায় (Diya Mukherjee),যাকে আমরা এই মুহূর্তে ‘মিঠাই’ ধারাবাহিকে দেখতে পাচ্ছি। উচ্ছে বাবুর তিনি বোন ওই ধারাবাহিকে। মোটকথা ধারাবাহিক সূত্রেই অভিষেক ও দিয়ার সম্পর্ক তারপর প্রায় তিন বছরের প্রেম। এই প্রেম নিয়ে কেউই লুকোচুরি করেননি, সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রায় সময় তাদের ছবি দেখা যেত। ‘সীমারেখা’ ধারাবাহিকের সেটে শুরু হয়েছিল এই প্রেমের গল্প। কিন্তু, কি এমন ঝড় এলো যে সম্পর্ক ভেঙে খান খান। শেষ পর্যন্ত সম্পর্কের সীমারেখা টানেন দুজন।

এরপরেই সুরভির (Surabhi Mallick) সঙ্গে সম্পর্ককে সিলমোহর দেন নেতাজি খ্যাত অভিনেতা অভিষেক। সেদিন দুজনের ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে অভিষেক লেখেন, ‘তোমাকে আমি কী করবে বলব তোমায় পেয়ে আমি কী আমি কতটা ধন্য’। সঙ্গে জুড়ে দেন হৃদয়ের চিহ্ন। এরপর হ্যাশট্যাগে লেখেন- ‘ভাগ্যবান’, ‘ভগবান সত্যি মহান’।

নতুন প্রেমে নিজেকে ভাগ্যবান বললেও পুরোনো প্রেম নিয়ে অভিষেকের কথায়, ‘মানুষ পুরো ব্যাপারটা না জেনে এক দিকে সমস্ত সহানুভূতি ঢেলে দেয়। এটা বড্ড অবাক করে দেয়। অন্য জন মুখ খোলে না বলে তাকে খলনায়ক বানিয়ে তোলে। আমি ভেবেছিলাম, সবটা সামলে নেব ঠিক। কিন্তু উল্টো দিক থেকে বিন্দুমাত্র সমর্থন না পেয়ে বুঝলাম যে, এ বার বলার সময় এসে গিয়েছে। সকলেই ভাবে, সম্পর্কে বিচ্ছেদ হলে ছেলেটাই খারাপ। আসলে আমার দোষ বলুন বা গুণ, আমি কখনও সম্পর্ক লুকিয়ে রাখি না। আমার সহানুভূতির দরকার নেই। অনেক নেতিবাচকতা নিয়েও আমি সম্পর্কটা বাঁচিয়ে রাখার চেষ্টা করেছি, কিন্তু এ ভাবে সারা জীবন থাকাটা দু’জনের পক্ষেই হত না।’ নিজের ও দিয়ার সম্পর্কে আরও কথা বলতে অভিষেক এদিন ওই সংবাদমাধ্যমে এও বলেন, “তিন বছর… খারাপ লাগা ছিল। তিন বছর তো কম নয়। সম্পর্কটাকে খুব গুরুত্ব দিতাম। সবাই জানে। কিন্তু যে হতাশাগুলো আমাকে তাড়িয়ে নিয়ে বেড়াত, সেগুলো আর সহ্য করা যাচ্ছিল না। বিচ্ছেদের পরে আমি রোজ কতটা কষ্ট পেয়েছি, তা তো কেউ জানে না। জানাতে চাইও না। আমি কারও সহানুভূতি চাইনি। পরে জানতে পারি যে, অনেকের ধারণা, আমি নাকি এই তিন বছরে যা করেছি, সবটাই নাটক। সেটা শুনে খুবই কষ্ট হয়েছে আমার। আমি আজও বুঝি না যে ওর (দিয়া) সঙ্গে নাটক করে আমার জীবনে কী উন্নতি হবে!”

Related Articles