১৫ বছরে পা দিল সুদীপার ‘রান্নাঘর’, ৭ দিন ধরে চলছে মহোৎসব, রইলো ভিডিও
শুরু হয়ে গিয়েছে রান্নাঘরের মহোৎসব। একদিকে দিদির তিন তিন বার বাংলা জয় ও মসনদে বসা অন্যদিকে রান্নাঘরের রানীর ১৫টা বছর পার। ২রা মে ছিল রাজ্যের দিদির দিন, ঠিক তার পর দিন থেকেই শুরু হয় রান্নাঘরের জন্মদিনের সপ্তাহ। ৩ রা মে থেকে শুরু হয়েছে রান্নাঘরের মহোৎসব, এটি চলবে আগামী ৮ ই মে পর্যন্ত। টানা সাত দিন ধরে নানান লোভনীয় খাবার, গান, নাচ, গল্প, আড্ডায় সেলিব্রেট হচ্ছে ও হবে এই শো।
সুদীপার আকর্ষণীয় সঞ্চালনায় দিন দিন এই শো জনপ্রিয়তার আকাশ স্পর্শ করেছে। প্রতিটা এপিসোড জুড়ে থাকে নিত্য নতুন রান্না। দেশী, বিদেশী, এক্সপেরিমেন্টাল সব রকমের রান্না দেখানো হয় এই শোতে। আর সুদীপা নিজেও দর্শকদের মাঝে মধ্যে রান্নাঘরের টিপস দেন, কখনো কখনো অতিথিদের রান্নায় সাহায্য করেন আবার তাদের উপহার দিয়ে ভরিয়েও দেন। সব মিলিয়ে জি বাংলায় সম্প্রচারিত এই শো হল বিকেলের উপযুক্ত বিনোদন।
একান্নবর্তী পরিবারে বেড়ে ওঠা সুদীপার কথায় আর রান্নায় উত্তর কলকাতার এক মিষ্টি গন্ধ আছে। জীবনের প্রথম থেকেই রান্না নিয়ে অগাধ গবেষণা। প্রয়াত সুপ্রিয়া দেবীর থেকেও বেশ কিছু রান্না নিজেও শিখেছিলেন। এখনও যখন তিনি অতিথির রান্না পরিবেশন করেন তার মধ্যে থাকে তার বিচক্ষণতা, ঐতিহ্যের ছোয়া, অতিথির জন্য অজস্র প্রশংসা, আর নিত্য নতুন আইডিয়া। সব মিলিয়ে সুদীপা একাই একশো জি বাংলার রান্নাঘরের জন্য।
প্রসঙ্গত, বেনুদির বাড়িতে রান্না করতেন বংশীদা। এই বংশীদার হাত ধরে কত কি রান্না শিখেছেন সুদীপা, সেই সব রান্নাই তুলে ধরতেন নিজের রান্নাঘরে। সুদীপার যত্নে গড়ে তোলা এই রান্নাঘরে আজ লম্বা লাইন অতিথিদের। সকলেই অংশ গ্রহণ করতে চায়, নিজেদের স্পেশ্যাল রান্না সকলের সামনে তুলে ধরতে চায়। কি বাচ্চা কি বয়স্ক সকলের জন্য বিভিন্ন ধরনের রান্নার এক্সপেরিমেন্ট চলে এই শোয়ে। আজও জি বাংলার এই শো জনপ্রিয়। সেইজন্যেই পনেরো বছরের জন্মদিন মহা ধূমধাম করে পালন হচ্ছে সুদীপার রান্নাঘরে। ছোট পর্দার ও বড় পর্দার বহু শিল্পীদের দেখা যাবে এই শোতে। মেনুতে থাকছে বিভিন্ন ঘরানার খাবার, থাকছে মজা, নাচ, গান হইহুল্লোড় আরো কত কি। তাই আর অপেক্ষা নয়, ৪:৩০ বাজলেই জি বাংলার সামনে বসে পড়ুন আর ভার্চুয়ালি বিভিন্ন লোভনীয় খাবারের স্বাদ নিন।