আশ্বিন মাসে মা পুত্র কোলে বাপের বাড়ি আসেন কৈলাস থেকে। কিন্তু, এই ধরাধামে গল্প এক্কেবারে উল্টো। সন্তানকে একেবারে নিতবর সাজিয়ে বিয়ের পিঁড়িতে মা। কিছুই করার নেই, প্রকৃতির নিয়মে এই মুহূর্তে সন্তান প্রসব আগে হয়, তারপর বিয়ে। বিয়ে গুরুত্ব হারালেও ক্যামেরা, মেকআপ, সাজগোজ, নিমন্ত্রণ, ভুরিভোজ এসবের গুরুত্ব আজও প্রভাব বিস্তার করে রেখেছে। অনেকেই আছেন যারা বিয়ের পর কপালে সিঁদুর তোলেন না, বা তুললেও কিঞ্চিৎ মাত্র, কিন্তু বিয়ের দিন কপাল ভর্তি সিঁদুর না দিলে ছবিটাই অসম্পূর্ণ। এমনই পরিবর্তনশীল সামাজিক কাঠামো ঘিরে সাধারণ মানুষ থেকে সেলিব্রিটিদের বাস। কথা হচ্ছে অভিনেত্রী পূজা বন্দোপাধ্যায় ও কুণাল ভার্মার বিয়ে প্রসঙ্গে।
কলকাতার মেয়ে পূজা বন্দোপাধ্যায়। পেশার টানে তিনি মুম্বাই নিবাসী। টলিউডে তার কাজ থাকলেও হিন্দি ধারাবাহিক জগতে পূজা বেশ কিছু কাজ করেছেন। সেইমত একজন সিরিয়াল আর্টিস্টকে রেজিস্ট্রি করেন করোনা কালে। তারই নাম কুণাল।
রেজিস্ট্রি ম্যারেজের আগে অবশ্য অন্তঃসত্ত্বা হয়ে যান পূজা। ফলে তড়িঘড়ি রেজিস্ট্রি। এরপর সন্তান প্রসব। ছেলের নাম রাখেন কৃশিব। কৃষ্ণ ও শিব মিলিয়ে এই নাম। ছেলে একটু বড় হতেই সিদ্ধান্ত নেন একেই নিতবর বানাতে হবে এবং সামাজিক বিয়ের আয়োজন। যেই বলা সেই কাজ।
View this post on Instagram
গত ১৫ ই নভেম্বর গোয়ার সমুদ্র সৈকতে আয়োজন করলেন সামাজিক বিয়ের অনুষ্ঠান। মেহেন্দি, গায়ে হলুদ, সবই থাকে। বিয়ের দিন লাল টুকটুকে বেনারসি গায়ে চাপান তিনি। কুণালের পরনে ছিল লাল পাঞ্জাবী। একেবারে বঙ্গ লক্ষ্মী রূপে বিয়ে করেন পূজা ও কুণাল। ধীরে ধীরে সমস্ত ছবি তিনি পোস্ট করছেন সোশ্যাল মিডিয়ায়। HoopHaap Entertainment এর তরফ থেকে পূজা বন্দোপাধ্যায়কে ও কুণাল ভার্মাকে অনেক শুভেচ্ছা।