whatsapp channel

Sumanta Mukherjee: ‘আগে মেগা সিরিয়ালের শ্যুটিংয়েও অনেক ভাবনাচিন্তা করা হত’, মুখ খুললেন সুমন্ত মুখোপাধ্যায়

খল চরিত্রের সুমন্ত মাস্টারমশাই'কে বলছে, " মাস্টারমশাই আপনি কিছুই দেখেননি"। সংলাপ এমনই একটা শব্দ ভান্ডার, যার থেকে আন্দাজ করা যায় আগের ঘটনা ও পরবর্তী ঘটনার সূত্র। সম্প্রতি, প্রবীণ অভিনেতা সুমন্ত…

Avatar

HoopHaap Digital Media

Advertisements
Advertisements

খল চরিত্রের সুমন্ত মাস্টারমশাই’কে বলছে, ” মাস্টারমশাই আপনি কিছুই দেখেননি”। সংলাপ এমনই একটা শব্দ ভান্ডার, যার থেকে আন্দাজ করা যায় আগের ঘটনা ও পরবর্তী ঘটনার সূত্র। সম্প্রতি, প্রবীণ অভিনেতা সুমন্ত মুখোপাধ্যায় দুটি সংবাদপত্রে নিজস্ব কিছু অভিজ্ঞতার কথা প্রকাশ করেন। তার প্রতিটা শব্দে রয়েছে অতৃপ্ত অভিজ্ঞতা। চলুন জানি।

Advertisements

একটা সময় বাংলা ধারাবাহিক ও সিনেমায় অভিনয় করতেন সুমন্ত মুখোপাধ্যায়। বর্তমানে ধারাবাহিক করছেন। তখন বেশিরভাগ জায়গায় খল চরিত্রে তাকে দেখা যেত, কারণ তার শারীরিক গঠন, চোখের চাহনি, গলার স্বর ছিল খল নায়কের মতনই। বর্তমানে পারিবারিক সিনেমার প্রবীণ সদস্য হিসেবে কাজ করেন। সেই জন্মভূমি’র প্রতাপ এখন বাংলা সিরিয়ালের বিভিন্ন চরিত্র। আপাতত, ‘পাকা দেখা’ ছবির শ্যুটিং করছেন তিনি।

Advertisements

আজকের দিনে দাড়িয়ে সংলাপ ও বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে নিজের কথা শব্দে প্রকাশ করেন সুমন্ত। বিনোদন দুনিয়া কিভাবে পরিবর্তন হয়েছে সেই নিয়েই টুকিটাকি কথা সরাসরি সুমন্ত মুখোপাধ্যায় মুখ থেকে।

Advertisements

ধারাবাহিক হোক বা কমার্শিয়াল সিনেমা, সেইসব ডায়লগ অর্থাৎ সংলাপ প্রসঙ্গে সুমন্তের মতামত, “আগে মেগা সিরিয়ালের শ্যুটিংয়েও অনেক ভাবনাচিন্তা করা হত। শিল্পীদের সঙ্গে চিত্রনাট্য নিয়ে পরিচালকের কথা হত। আমরা নিজেদের মতামত জানাতে পারতাম। এখন সেইসব কিছু হয় না, বরং এখন প্রশ্ন করা বিপদ। প্রশ্ন করলে কেউ উত্তর দিতে পারে না। বলে, এটা চ্য়ানেল থেকে সিদ্ধান্ত হয়েছে। কোনও সংলাপ বোকা বোকা বা যুক্তিহীন মনে হলেও আমরা বদলাতে পারি না। আমাদের অবস্থা খুব করুণ।”

Advertisements

পারিশ্রমিক এবং ন্যায্য অধিকার প্রসঙ্গে সুমন্ত আরেকটি সংবাদমাধ্যমে বলেন, “এখন কী হয়েছে, মানুষ অল্পেই সন্তষ্ট হয়ে যাচ্ছেন। বুঝতে পারছেন না যে ভবিষ্যতে কতখানি কাজ হবে। সরকারের থেকেও তো নানারকম প্রকল্পে কাজ দেওয়া হচ্ছে। তাতে মানুষ ভাবছেন, এতেই কাজ চলে যাবে। মনে করছেন, ‘এই তো পেয়ে গেলাম ৫০০ টাকা, ১০০০ টাকা’। আমি একটা বিষয়কে এখানে উত্থাপন করতে চাই। রেফারেন্স যাকে বলে। আমাদের আর্টিস্ট ফোরামে সরকার থেকে একটা হেল্থ ইনসিওয়রেন্স চালু করা হয়েছিল। কয়েক বছর পর থেকে কিন্তু তার প্রিমিয়াম আর দেওয়া হচ্ছে না। আমাদের যাঁদের অন্য কোম্পানির সঙ্গে মেডিক্লেম করা ছিল, ছেড়ে দিয়েছিলাম। ভেবেছিলাম সরকার থেকে হচ্ছে যখন আর নিজেদের পকেট থেকে খরচ করব কেন। যদিও সরকারের টাকা মানে আমাদেরই টাকা।”

whatsapp logo
Advertisements
Avatar