Madan Mitra: মদনের জন্মদিনে বিরিয়ানি ভোজ, ছয় হাজার মানুষকে পেট ভরে খাওয়ালেন মানবিক বিধায়ক
‘ওহ্ লাভলি’ আর ভার্চুয়াল প্রেম করতে করতে ৬৭ বসন্ত পার করে দিলেন কামারহাটির মদন মিত্র। এখনও তার জীবন রঙিন। মাঝে মধ্যেই জমকালো পোশাকে হাজির হন তিনি। কপালে তিলক, মুখে হাসি, আর চোখে দুষ্টুমি রেখে রাজনীতি সামলাচ্ছেন দিদির পুরোনো সৈনিক। সেই মানুষের জন্মদিন সম্পন্ন হল ৩ রা ডিসেম্বর ( MLA Madan Mitra’s Birthday)।
মদন মিত্র যেমন রঙিন ও মুক্ত মনের মানুষ, তেমনই তার জন্মদিন সেলিব্রেশন হল ধূমধাম করে। জনসেবা যখন তার লক্ষ্য তখন জন্মদিনের মতন এই বিশেষ দিন কিভাবে ফাঁকা মাঠে গড়াগড়ি খায়? তাই এদিনকে তিনি স্মরণীয় করে রাখতে খোলা নিমন্ত্রণ জানান। কাউকে বাদ দেননি তিনি। জন্মদিনে সকলে যাতে পেট ভরে খেতে পারেন সেই দিকে বিশেষ নজর দেন এই মদন মিত্র।
এদিন গোটা কামারহাটি মুক্ত নিমন্ত্রণের সাক্ষী থাকে। প্রায় ৬ হাজার মানুষ আসেন জন্মদিনের ভুরিভোজ করতে। যদিও যারা আসেন বিরিয়ানি খেতে তাদের অধিকাংশের ভুঁড়ি নেই। বহু পথের মানুষ এদিন নির্বিঘ্নে পেট ভরে রাজকীয় খাবার বিরিয়ানি ভোজন করেন। এদিন, কামারহাটি ২ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল যুব প্রেসিডেন্ট বলেন, “মানুষের কাছে যেমন দুর্গাপুজো, কালীপুজো, আমাদের কাছে তেমনই দাদার জন্মদিন। দাদা আমাদের মসীহা। আমাদের গুরুদেব। তিনি সকলের কাছের মানুষ। তাঁর জন্মদিন তাই আমাদরে কাছে উত্সবের মতো। আমরা, এই দিনটাকে তাই এরকম আনন্দ করেই পালন করি। আজ এলাকার সকল মানুষকে নিমন্ত্রণ করেছি আমরা। আজ কারোর বাড়িতে রান্না হবে না। সকলে আজ এখানেই খাওয়া দাওয়া করবেন। দাদা আমাদের গুরু। দাদাই সব। ওঁর জন্যই এত আয়োজন।”
শুধু যে মধ্যাহ্নভোজনের আয়োজন করেছিলেন এমনটা নয়, এদিন তিনি রবীন্দ্র সঙ্গীতের উপর একটি গানের অ্যালবাম প্রকাশ করেন। প্রসঙ্গত,দিদির আদেশ মেনেই রবীন্দ্র সংগীতের দিকে ঝোঁকেন তিনি। ওইদিনই জোড়াসাঁকো ঠাকুরবাড়ির ঠাকুরদালানে সেই অ্যালবামের আনুষ্ঠানিক মুক্তি দেন।