Hoop PlusTollywood

সন্তানকে কতখানি সময় দিতে পারেন টলিপাড়ার তারকা মায়েরা!

প্রাচীন কাল থেকে সমাজ নারীকে শিখিয়ে এসেছে মাতৃত্বের অর্থ আত্মত্যাগ। একবিংশ শতকে দাঁড়িয়েও সমাজের কিছু নীতিবাগীশের মুখে শোনা যায়, মা চাকরি করলে নাকি সন্তানের সঠিক বৃদ্ধি হবে না। তার জন্য সন্তানকে পর্যাপ্ত সময় দিতে হবে। কিন্তু টলিউডের তারকা মায়েরা দুই দিক বজায় রাখার আপ্রাণ লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন। প্রথমেই আসে কণীনিকা বন্দ্যোপাধ্যায় (Koneenica Banerjee)-র কথা।

স্টার জলসার জনপ্রিয় সিরিয়াল ‘আয় তবে সহচরী’-র মাধ্যমে আবারও ছোট পর্দায় কামব‍্যাক করেছেন কণীনিকা। কিন্তু তাঁর কন্যা অন্তঃকরণা (Antahkarana) বা কিয়া মায়ের কাজের জগৎ বোঝার পক্ষে যথেষ্ট ছোট। পেশাদার অভিনেত্রী কণীনিকার শুটিং ফ্লোরেই দিনের দশ-বারো ঘন্টা কেটে যায়। ফলে চাইলেও কিয়াকে বেশি সময় দিতে পারেন না তিনি। শুটিংয়ে যাওয়ার পথে ঘুমন্ত মেয়েকে নিজের মায়ের কাছে রেখে আসেন কণীনিকা। কিয়া জেগে থাকলে কণীনিকা শুটিংয়ে বেরোনোর সময় কান্নাকাটি করে। আধো আধো বুলিতে মাকে বাইরে বেরোতে বারণ করে। ভিডিও কল করতে পারেন না কণীনিকা। যদি তাঁকে দেখে কিয়া কাঁদতে শুরু করে দেয়! তবে শুটিং থেকে একটু ছুটি পেলেই সপরিবারে লং ড্রাইভে বেরিয়ে পড়েন কণীনিকা।

রবিবার ছাড়াও মেয়েকে আরও একটা দিন সময় দিতে চেষ্টা করেন কণীনিকা। সেদিন তিনি শুটিংয়ে যান না। কণীনিকা জানিয়েছেন, করোনার ফলে দুটো বছর মায়েরা বাড়িতে ছিলেন। কিয়ার মতো ছোট ছেলেমেয়েরা তাই বাড়িতে মায়ের উপস্থিতি দেখেই অভ্যস্ত। ফলে এখনও তারা মায়ের সঙ্গেই সময় কাটাতে চায়। সুদীপ্তা চক্রবর্তী (Sudipta Chakraborty)-র মেয়ে শাহিদা নীরা (Shahida Neera) চলতি বছর সেরা অভিনেত্রীর পুরস্কার পেয়েছে সে। লকডাউনের সময় সুদীপ্তা মেয়েকে ড্রইং, আবৃত্তিতে ব্যস্ত রেখেছিলেন। মায়ের সঙ্গে যোগা করে নীরা। তবে সময় পেলেই মেয়েকে পড়তে বসান সুদীপ্তা যা নীরার অত্যন্ত অপছন্দের।

লকডাউনের সময় মেয়ের সঙ্গে সময় কাটিয়েছেন সুদীপ্তা। কিন্তু লকডাউনের পরেও নিজের বাড়িতেই খুলেছেন অভিনয় প্রশিক্ষণ কেন্দ্র। ফিল্মের ওয়ার্কশপ হয় বাড়িতেই। অভিনেতা-কলাকূশলীরা আসেন। মেয়ে সুদীপ্তার চোখের সামনে থাকে। কাজের ফাঁকে নীরাকে অনলাইন ক্লাস করান, পড়ান, স্নান করান, খাওয়ান, ঘুম পাড়ান। নিজের কাজ সামলে মেয়েকে সময় দেন সুদীপ্তা।

Related Articles