সুরেলী আওয়াজ যদি হতাশা হয়ে ধরা দেয় কারোর কি আর ভালো লাগে! বলিউডের অন্যতম খ্যাতনামা গায়িকা যাঁর আওয়াজে সারা ভারত গমগম করত। তিনিই হলেন কবিতা কৃষ্ণমূর্তি। তাঁরই কণ্ঠে যেন বেজে উঠল হতাশার সুর। বলিউডের গান নিয়ে বেশ হতাশ এই অন্যতমা।
‘আজকালকার হিন্দি ছবি তো দারুন হচ্ছে। কিন্তু গান গুলিতে মনের কথা কই’- বলে বসেছেন গায়িকা। নিজের সময়কার অর্থাৎ পাঁচ দশকের গান নিয়েও আলোচনা করেছেন তিনি। আগের দিনের গানে আলাদা প্রাণ খুঁজে পেতেন তিনি। এখনকারের ইলেকট্রনিক দুনিয়ায় প্রায় হারিয়ে গেছে সেই প্রাণ।
তিনি আবার প্রশংসাও করলেন বলিপাড়ার গানের। আজকালকার যে সমস্ত পরীক্ষানিরীক্ষার মাধ্যমে বলিউড একের পর এক নতুন স্বাদের সুরের সমাগম ঘটাচ্ছে। তার আবার জুড়ি মেলা ভার। কি-বোর্ডের টিউনিং এখন অনেক সহজ। বিশেষত ডাবিং পদ্ধতি বেশ সাহায্য করে সিঙ্গারদের। কোনো লাইনে অসুবিধা হলে পুনরায় সেই লাইন গেয়ে ফেলা যায়।যাই হোক, গানের মধ্যে প্রাণ বোধ হয় নতুন প্রজন্ম নিজেদের মতো করে খুঁজে নিতে পেরেছে।
রবীন্দ্র সংগীতে বাঙালি ভালোবাসে তাঁর সুরকে। যেমন, ‘ভালোবাসি’। বিশেষত তাঁর বিখ্যাত এলবাম, ‘টুগেদার টেগর’ সত্যিই অনন্য। এছাড়াও রয়েছে, নব্বই দশকের ‘১৯৪২ আ লাভস্টোরি’, ‘খামোশি, দ্য মিউজিক্যাল’, ‘বম্বে’, ‘হাম দিল দে চুকে সনম’-এর মতো গানগুলি। শুধু বাঙালি কেন সারা ভারত তথা বিশ্বের কাছেও প্রবাদপ্রতিম অনন্যা কবিতা কৃষ্ণমূর্তি।