দক্ষিণী সিনেমা এখন সাফল্যের চরম শিখরে। ২০১৫ সালে রাজা মৌলি বাবুর পরিচালনায় ‘বাহুবলী’ ও ২০১৭ সালে ‘বাহুবলী ২’ এসে বক্সঅফিসে বিশাল আলোড়ন তুলে গিয়েছে। তারপরে ২০২১ সালে সুকুমারের পরিচালনায় ‘পুষ্পা’ এসেও এমনই আলোড়ন তুলেছে যে প্রশ্ন ওঠে আসছে কে সেরা? ‛বাহুবলি: দ্য কনক্লিউশন’ এসে বিশাল জনসমুদ্রকে নিজের দিকে টেনেছিল। পুষ্পাও কিন্তু সেই হেরে বসে নেই, বরং কাঁধে কাঁধ দিয়ে ময়দানে এখনও সাফল্যের সাথে লড়ে চড়ছে। বলা বাহুল্য কেউই কিন্তু কোনো অংশে কম নয়। তাই না!
বাহুবলী তে দেখা গিয়েছিল জনপ্রিয় তারকা প্রভাস, অনুষ্কা, তামান্না, সত্যরাজদের। বিশেষত কাটাপ্পার চরিত্রে সত্যরাজের অভিনয় এবং গল্প বিশেষ ভাবে আকৃষ্ট করছিল দর্শকদের। বাহুবলীর প্রথম অধ্যায়ে সকলের রাতেই ঘুম উড়িয়ে দিয়েছিল একটাই প্রশ্ন, কাটাপ্পা কেন মারলেন নিজের ভাগ্নের মতো কাছের বাহুবলীকে? অন্যদিকে পুষ্পাতে দেখা গিয়েছে জনপ্রিয় তারকা আল্লু অর্জুন, ভারতীয় ক্রাশ রশ্মিকা মন্দানাদের। পুষ্পারও কিন্তু জুড়ি মেলা ভার। অমূল্য রক্ত চন্দন কাঠের ব্যবসা থেকে শুরু করে লেডি লাভ শ্রীবল্লীর সাথে পুস্পার কেমিস্ট্রি এবারেও দর্শকের ঘুমের ব্যাঘাতের কারণ হল। দক্ষিণ যদি মনের মধ্যে এভাবে ঘর বাঁধতে থাকে, বলিপাড়ার কি হবে!
বলা বাহুল্য, প্রাইম ভিডিওর মতো বিভিন্ন ওটিটি প্ল্যাটফর্মে পুষ্পা মুক্তি পেলেও কাতারে কাতারে মানুষ ছুটছে সিনেমা হলের দিকে। হিন্দি সংস্করণ মুক্তি পাওয়ার সাথে সাথেই সপ্তম সপ্তাহেই বক্স অফিসে ১০০ কোটি টাকা মুনাফা করে ফেললো ‘পুষ্পা: দ্য রাইস’। বাজেট ছিল ২৫০ কোটি। ইতিমধ্যে প্রায় ৩৬৫ কোটির গায়ে উপার্জন হয়ে গিয়েছে। অন্যদিকে ‛বাহুবলি: দ্য বিগিনিং’ও কিন্তু হিন্দি সংস্করণ মুক্তি পাওয়ার সাথে সাথেই ১০০ কোটি তুলে নিয়েছিল। বাজেট ছিল ১৮০ কোটি। কিন্তু ইতিমধ্যে প্রায় ৬৫০ কোটির গায়ে উপার্জন হয়ে গিয়েছে। অন্যদিকে ‘বাহুবলী ২’ মুক্তির নয় দিনের মধ্যেই ১০০০ কোটি ব্যবসা করেছিল, যেখানে ‘পুষ্পা ২’ বক্সঅফিসে পরবর্তী সময়ে আসবে। দুই মুভিই যেহেতু আইকনিক স্থান হাতিয়ে নিয়েছে। শেষমেষ তবে দেখাই যাক কার কাঁধে জোর বেশি।
রেটিং অবশ্য বাহুবলীর তুলনায় পুষ্পার একটু কম। বাহুবলী যদি ৪.৫ হয় পুষ্পা তবে ৩.১। অবশ্য পুষ্পা সবে শুরু। এখনো পথ চলা বাকি। দক্ষিণী সুপার হিট মুভি তো আছেই এমনকি কিছু কিছু বলি মুভিকেও তাক লাগিয়ে বাহুবলীর সিংহাসনকে চ্যালেঞ্জ জানিয়েছে পুষ্পা। দেশ তথা দেশের বাইরেও বহুদিন ধরেই যথেষ্ট শোরগোল ফেলে দিয়েছিল এস এস রাজামৌলির বাহুবলী । দুই ব্লক বাস্টারের ফ্যানবেসও কিন্তু তৈরি হয়ে গিয়েছে ইতিমধ্যে। একদল বলছে- বাহুবলীর ধারে কাছে নেই পুষ্পা। অন্যদল বলছে- সবুর করো আচ্ছা আচ্ছা ব্লকবাস্টারগুলিকে ধোঁয়াশার মতো উড়িয়ে দিয়ে বেরিয়ে যাবে পুষ্পা। প্রশ্ন একটাই দক্ষিণী ছবি কি ধীরে ধীরে বলিউডের বাজারে বড়সড় প্রভাব ফেলতে চলেছে?