চলে গিয়েছেন বাপ্পী লাহিড়ী (Bappi Lahiri)। রেখে গিয়েছেন একরাশ স্মৃতি। বাবুল সুপ্রিয় (Babul Supriyo) বাপ্পীর স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে বলেছেন, তাঁকে ‘ডিস্কো কিং’ বলা সমীচীন নয়। কিন্তু ডিস্কো মিউজিক বাপ্পীর হাত ধরেই ভারতে প্রবেশ করেছিল। এমনকি মিঠুন চক্রবর্তী (Mithun Chakraborty)-র স্টারডমের নেপথ্যেও অবদান রয়েছে বাপ্পী লাহিড়ীর।
View this post on Instagram
একসময় আসমুদ্রহিমাচল মাতিয়েছিল মিঠুন অভিনীত ‘ডিস্কো ডান্সার’। এই ফিল্মের টাইটেল সঙ ‘আই অ্যাম আ ডিস্কো ডান্সার’ তৎকালীন যুব সমাজের কাছে হয়ে উঠেছিল বিশেষ পছন্দের। কিন্তু সবটাই সম্ভব হয়েছিল বাপ্পীর জন্য। সেই সময় বলিউডে চলছে অমিতাভ বচ্চন (Amitabh Bachchan)-এর স্বর্ণযুগ। মিঠুন লড়াই করছেন পায়ের জমি শক্ত করতে। তখনও বলিউডের একাংশের ধারণা, মিঠুনের মধ্যে এক্স ফ্যাক্টর নেই। জিতেন্দ্র (Jeetendra) তো বলেই দিয়েছেন, মিঠুন বলিউডের নায়ক হতে পারলে তিনি অভিনয় ছেড়ে দেবেন। ঝুঁকিটা নিলেন বাপ্পী। ‘ডিস্কো ডান্সার’-এর পরিচালক রবিকান্ত নাগাইচ (Rabikant Nagaich) ফোন করে বাপ্পীকে বলেন একটি নতুন ছেলের কথা যিনি জন ট্রাভোল্টা ও ব্রুস লি-র কম্বিনেশন। একইসঙ্গে বব্বর সুভাষ (Babbar Subhash)-এর আগামী ফিল্মেও ছেলেটির জন্য বাপ্পীর কাছে গানের অনুরোধ করেছিলেন তিনি। এরপর মিঠুনকে মাথায় রেখে বাপ্পী তৈরি করেন ‘ডিস্কো ডান্সার’। ‘ডিস্কো ডান্সার’ মিঠুনকে রাতারাতি স্টার বানিয়ে দেয়। এরপর পিছন ফিরে তাকাতে হয়নি তাঁকে।
View this post on Instagram
এরপর 1987 সালে ‘ডান্স ডান্স’, 1989 সালে ‘গুরু’, ‘প্রেম প্রতিজ্ঞা’-র মাধ্যমে সুপারস্টার হয়ে ওঠেন মিঠুন। বাপ্পী ও মিঠুন ছিলেন একে অপরের পরিপূরক। বাপ্পীর সুরে মিঠুনের উপর পিকচারাইজড গান ‘জিমি জিমি’ ভারতের মাটি ছাড়িয়ে ছড়িয়ে পড়েছিল রাশিয়ায়। মিঠুনের দুর্ধর্ষ নাচ অত্যন্ত প্রশংসিত হওয়ার পাশাপাশি পেয়েছিল আন্তর্জাতিকতার তকমা।
View this post on Instagram
বাপ্পী চলে গিয়েছেন। ফাঁকা হয়ে গিয়েছে মিঠুনের হৃদয়। চলে গিয়েছেন তাঁর অন্যতম বন্ধু যিনি একদা মিঠুনের কাছে শিখতে চেয়েছিলেন ‘ডিস্কো ডান্সার’-এর স্টেপ।
View this post on Instagram