whatsapp channel

Bappi-Bappa: অবস্ট্রাকটিভ স্লিপ অ্যাপনিয়ায় মারা যাননি বাপ্পী, গোপন তথ্য প্রকাশ্যে আনলেন পুত্র বাপ্পা

বাপ্পী লাহিড়ী (Bappi Lahiri) চলে গিয়েছেন সুরলোকে। এক সপ্তাহ পেরিয়ে গিয়েছে। বাবার শেষকৃত্যে যোগ দিতে লস অ্যাঞ্জেলেস থেকে মুম্বইয়ে এসেছিলেন বাপ্পী-পুত্র বাপ্পা লাহিড়ী (Bappa Lahiri)। তিনি এই মুহূর্তে মুম্বইয়ে তাঁর…

Avatar

HoopHaap Digital Media

বাপ্পী লাহিড়ী (Bappi Lahiri) চলে গিয়েছেন সুরলোকে। এক সপ্তাহ পেরিয়ে গিয়েছে। বাবার শেষকৃত্যে যোগ দিতে লস অ্যাঞ্জেলেস থেকে মুম্বইয়ে এসেছিলেন বাপ্পী-পুত্র বাপ্পা লাহিড়ী (Bappa Lahiri)। তিনি এই মুহূর্তে মুম্বইয়ে তাঁর মা চিত্রাণী লাহিড়ী (Chitrani Lahiri)-র সঙ্গেই রয়েছেন। বাপ্পীকে হারিয়ে ভেঙে পড়েছেন তাঁর সমগ্র পরিবার। বাপ্পীর কন্যা রিমা লাহিড়ী (Reema Lahiri) শোকস্তব্ধ। বাবাকে জড়িয়ে ধরে তাঁর কান্নার ভিডিও ভাইরাল হয়েছে নেটদুনিয়ায়। বাবার মৃত্যুর কারণ নিয়ে এবার মুখ খুললেন বাপ্পা।

বাপ্পা জানিয়েছেন, গত মাসের অধিকাংশ দিন বাপ্পী হাসপাতালেই ছিলেন। সেখানে শুয়ে শুয়ে গান শুনতেন ও পাশে রাখা টেবিলে টোকা মেরে তাল দিতেন তিনি। হঠাৎই একদিন গানের সুরে সুর মিলিয়ে চিৎকার করে গাইতে শুরু করলে চিত্রাণী ধমক দিয়েছিলেন তাঁকে। 15 ই ফেব্রুয়ারি রাতে প্রয়াত হন বাপ্পী। সেই সময় জানা গিয়েছিল, অবস্ট্রাকটিভ স্লিপ অ্যাপনিয়ায় মৃত্যু হয়েছে তাঁর। এটি ঘুমের সময় শ্বাস-প্রশ্বাস সংক্রান্ত বিশেষ একটি ব্যাধি। এর ফলে ঘুমানোর সময় শ্বাস-প্রশ্বাস অনিয়মিত হয়ে যায়। কিন্তু বাপ্পার ধারণা, অবস্ট্রাকটিভ স্লিপ অ্যাপনিয়া বাপ্পীর মৃত্যুর কারণ নয়। 14 ই ফেব্রুয়ারি থেকে খাওয়া-দাওয়া বন্ধ করে দিয়েছিলেন বাপ্পী। চলে গিয়েছিলেন ঘোরের মধ্যে। চিকিৎসককে ফোন করা হলে তিনি বাপ্পীকে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেন। কিন্তু হাসপাতালে ভর্তি করার পর হৃদযন্ত্র বিকল হয়ে প্রয়াত হন বাপ্পী বলে মনে করেন বাপ্পা।

চিত্রাণীর সারাটা জীবন বাপ্পীকে ঘিরেই কেটেছে। তাঁকে হারিয়ে কার্যতঃ একা হয়ে পড়েছেন চিত্রাণী। ফলে মাকে একা রেখে এখনই লস অ্যাঞ্জেলেস ফিরতে চান না বাপ্পা। তিনি মায়ের সাথে কিছুটা সময় কাটাতে চান। মানসিকভাবে বিপর্যস্ত বাপ্পা নিজেও। তিনি জানিয়েছেন, বাপ্পীর মতো গায়কী তিনি কোথাও শোনেননি। তাঁর এখনও বিশ্বাস হচ্ছে না, বাবা নেই। বাপ্পী এক ও অদ্বিতীয়।

বাবার স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে বাপ্পা জানিয়েছেন, নিজের সাজগোজ নিয়ে খুব খুঁতখুঁতে ছিলেন বাপ্পী। বাইরে বেরোনোর সময় চোখে কালো রঙের চশমা ও সোনার গয়না পরে তবেই বেরোতেন তিনি। দিনের আলো বা রাতের অন্ধকার, চোখ থেকে কালো চশমা খুলতেন না বাপ্পী। বাপ্পার স্কুলের বন্ধুরা তাঁর বাবার রঙিন জামাকাপড় নিয়ে তাঁর সামনেই মজা করতেন। বাপ্পাও তাঁর বাবাকে প্রশ্ন করেছিলেন, সকাল ছ’টার সময় কেন বাপ্পী কালো চশমা পরেন! অন্তিম যাত্রাতেও বাপ্পীর চোখে কালো চশমা পরিয়ে দিয়েছিলেন তাঁর পরিবার।

whatsapp logo
Avatar
HoopHaap Digital Media