Keshab Dey: বিধ্বংসী আগুনে সবকিছু পুড়ে ছাই, ফেসবুক লাইভে কান্নায় ভেঙে পড়লেন কেশব দে
“পরম শত্রুরও যেন এমন বিপদ কোনোদিন না ঘটে”- নিজের সাজানো স্বপ্নগুলোকে চোখের সামনে ছাই হয়ে যেতে দেখে মর্মাহত গায়ক কেশব দে। সম্প্রতি তাঁর বাড়িতে সম্ভবত গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে আগুনের ফুলকি গুলো এসে বাসা বাঁধে। পুড়ে যায় সব। বাড়ি, বিশেষ করে স্বপ্নের স্টুডিও ‘মিউজিক প্ল্যানেট’। নিজের বাড়িতেই স্বপ্ন নিয়ে গড়ে তুলেছিলেন স্বপ্নের সংগীত মন্দিরখানা। এর সাথে সাথেই ধুলিস্মাৎ হয়ে গিয়েছে, ৬ টা গিটার, ৩ টে কি-বোর্ড, ১ টা গ্র্যান্ড পিয়ানো আরো কত কি। একজন শিল্পীর জন্য ধ্বংসের মানে এর থেকে বেশি আর কি বা হয়!
তাঁর জীবনে ঘটে যাওয়া এমন দুর্ঘটনা নিয়ে খুব চিন্তায় ছিলেন অনুরগীরা। তারই দরুণ এদিন লাইভে এসেছিলেন কেশব। তিনি জানান, “আমি আমার পরিচয় পত্রটুকুও হারিয়ে ফেলেছি। বেডরুম, ঠাকুরঘর সব পুড়ে ছাই। থাকার বাসস্থানতো নেই-ই। পরণে জামাকাপড়ও নেই। কাছের মানুষের থেকে পড়ছি। আমার কাছে বেঁচে থাকার-ই কোনো রাস্তা নেই। কারণ গান হারিয়ে গেল আমার জীবন থেকে। আমার প্রিয় জায়গাগুলো এখন ছাই হয়ে গেছে। আমার তো সব শেষ! তোমরা যদি সত্যিই চাও কেশব দে আবার ফিরুক, আমার পাশে থাকো এই আরজি নিয়েই আজ আমার লাইভে আসা। ”
গত পরশুদিন রাত দুটো থেকে আড়াইটার মধ্যে ঘটনাটা ঘটেছে কেশবের জীবনে। আবারও তিনি শূন্যে। স্বাভাবিকই তিল তিল করে গড়ে তোলা স্বপ্নগুলোর মাঝে এমন এক ব্যর্থতা পেয়ে তিনি ভীষণ ভেঙে পড়েছেন। বিশেষ করে তিনি ইন্সট্রুমেন্ট পাগল একজন মানুষ। সেগুলোরও হদিশ হারিয়েছে। কেশবের ভাষায়, “ ইউটিউবের চারটে প্লে-বাটনও নেই। এত অ্যাওয়ার্ডস সেগুলোও নেই। পাশে অবশ্য রয়েছেন বন্ধু-বান্ধব থেকে শুরু করে অনুরাগীরাও। তাঁকে শক্ত থাকতে হবে। নতুন করে বাঁচতে শিখতে হবে। এই বলে কমেন্ট করেছেন দেবাংশু ভট্টাচার্য, স্নিগ্ধজিৎ ভৌমিকরা। সাথে সব ঠিক হয়ে যাবে বলে কমেন্টও করে ফেলেছেন হাজারো ফ্যানস।
প্রসঙ্গত, কেশব জানালেন, প্রচুর চ্যানেল হাজির হয়েছিল তাঁর থেকে বাইট নিতে। কিন্তু তিনি বাইট দিতে চাননি। কারণ কেশবের মতে, এই দুর্ঘটনা কোনো পাবলিসিটির বিষয় নয়। কিন্তু এমন বিধ্বংসী আগুন কীভাবে লাগল তা এখনো স্পষ্টভাবে জানা যায়নি। কেউ ইচ্ছাকৃত ভাবে আগুন লাগিয়ে দিয়েছে নাকি আচমকা কোনো শর্ট সার্কিটের শিকার হলেন গায়ক তাও এখনও জানা সম্ভব নয়। কেশবের ভাষায়, “এই আগুন লাগার রহস্যটা এখনও খুঁজে পাইনি। কারণ সেদিন রাতে এমসিভি নামিয়েই আমরা বেরিয়েছিলাম বাড়ি থেকে। তাই শর্ট সার্কিটের প্রশ্নই নেই। মুর্শিদাবাদের রাজনৈতিক প্রচার সেরে সব সেরে এসে দেখলাম সব পুড়ে ছাই।”