সম্প্রতি রিলিজ করেছে উষা উত্থুপ (Usha Uthup)-এর কন্ঠে ‘শ্রীভল্লী’-র বাংলা রিমেক। দক্ষিণ ভারতীয় মেয়ে হয়েও বাংলাতে সমান স্বচ্ছন্দ উষা। অনায়াসেই মাতিয়ে দিতে পারেন মঞ্চ। কিন্তু একসময় তাঁর কন্ঠকে দমিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছিল রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র করে।
সম্প্রতি মুক্তি পেয়েছে উষার জীবনী অবলম্বনে লিখিত বই ‘কুইন অফ ইন্ডিয়ান পপ’। বই-এর থেকে বেশি এ যেন উষার অতীতের দলিল। উষার কেরিয়ার শুরুর দিন, ধীরে ধীরে ডিস্কো সুপারহিট গায়িকা হয়ে ওঠার কাহিনী লেখা রয়েছে এই বই-তে। একটি সাম্প্রতিক সাক্ষাৎকারে এই বই প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে উষা জানান, এক নেতার চক্রান্তে তাঁর গানের কেরিয়ার শেষ হয়ে যাওয়ার মুখে পৌঁছে গিয়েছিল। উষার গানের শিক্ষক ভেবেছিলেন, উষা কোনোদিন ভালো গায়িকা হতে পারবেন না। সঙ্গীতে তাঁর দখল অত্যন্ত কম। ফলে বিশেষ ক্লাসগুলো থেকে তাঁকে বঞ্চিত করা হত।
কিন্তু কয়েক বছর পর উষার একটি অনুষ্ঠানে ওই শিক্ষক বসেছিলেন দর্শকাসনে। মঞ্চ থেকে নেমে শিক্ষকের মুখোমুখি হয়েছিলেন উষা। শিক্ষক ও উষা, দুজনেই কেঁদে ফেলেছিলেন। উষা কখনও অনুশোচনায় ভোগেননি। গানের ক্লাসে না ঢুকতে পারার ঘটনা তাঁকে নীচ মানসিকতার করে তোলেনি। বরং আরও ভালোর দিকে নিজেকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেছেন তিনি। উষা জানতে চান না, তিনি ভালো না খারাপ গায়িকা। শুধু জানেন, তিনি একশো শতাংশ অরিজিনাল গায়িকা। বিতর্ক থেকে দূরে থাকলেও চক্রান্ত তাঁর পিছু তাড়া করেছে। তাঁর অবাক লাগত, যখন তাঁর মনে হত, তাঁর মতো একজন ঘরোয়া প্রকৃতির সাধারণ মেয়ে যাঁর সাথে নাইটক্লাবের ভাবমূর্তির কোনো মিল নেই, তাঁকেও রাজনৈতিক ক্ষেত্রের মানুষ নিষিদ্ধ করতে চেয়েছিলেন।
2020 সালে সঙ্গীত জগতে উষার পঞ্চাশ বছর পূর্ণ হয়েছে। ভারতের একাধিক আঞ্চলিক ভাষার পাশাপাশি জার্মান, ইটালিয়ান, সিংহলির মতো ভাষায় গান গেয়েছেন উষা।