মধ্যযুগ অথবা অ্যাডলফ হিটলারের সময় পেরিয়ে এসেছে একবিংশ শতক। তবু পশ্চিমবঙ্গের বুকে সুদীপ্ত সেন (Sudipta Sen) পরিচালিত ফিল্ম ‘দ্য কেরালা স্টোরি’ শাসকদলের পক্ষ থেকে অনৈতিক ভাবে ব্যান করার পর একবারের জন্যও বাংলা ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি থেকে কোনো প্রতিবাদ আসেনি। মুখ খুলতে চাননি তথাকথিত নামী সেলেব অথবা বুদ্ধিজীবীরা। কারণ অবশ্যই অজানা। যদি পাঠককুলের জানা থাকে, নিশ্চয়ই বলতে পারেন। সুদীপ্ত বর্তমানে ‘দ্য কেরালা স্টোরি’ নিয়ে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন। কারণ সেন্সর বোর্ড কোনো ফিল্মকে ছাড়পত্র দেওয়ার পর তার উপর রাজনৈতিক সংগঠনের নিষেধাজ্ঞা জারি করা শুধুমাত্র তুঘলকি আচরণ নয়, বেআইনিও বটে।
পশ্চিমবঙ্গ ছাড়া বাকি সবকটি রাজ্যের প্রেক্ষাগৃহগুলিতে রমরমিয়ে চলছে ‘দ্য কেরালা স্টোরি’। পশ্চিমবঙ্গের প্রেক্ষাগৃহে এই ফিল্মটি মাত্র তিন দিন চলার ফলে যথেষ্ট ব্যবসা করেছিল। আপাতত বলিউডের দেড়শো কোটির ক্লাবে প্রবেশ করেছে ‘দ্য কেরালা স্টোরি’। রিলিজের মাত্র বারো দিনের মধ্যেই ‘দ্য কেরালা স্টোরি’ -র দেড়শো কোটির ক্লাবে প্রবেশ নিঃসন্দেহে রেকর্ড বলা যায়। চলতি সপ্তাহের মঙ্গলবার এই ফিল্মের বক্স অফিস কালেকশন ছিল 9.81 কোটি যা বুধবারের মধ্যেই 166 কোটিতে। নির্মাতাদের আশা, খুব শীঘ্রই দুশো কোটির ক্লাবে প্রবেশ ঘটবে ‘দ্য কেরালা স্টোরি’-র।
View this post on Instagram
এর মধ্যেই মঙ্গলবার, তামিলনাড়ু সরকার সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়ে জানিয়েছে, তামিলনাড়ুর মাল্টিপ্লেক্সগুলির মালিকরা সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ‘দ্য কেরালা স্টোরি’-র প্রদর্শন বন্ধ করার। কারণ ওই প্রেক্ষাগৃহগুলিতে যথেষ্ট পরিমাণে দর্শক আসছেন না এই বিতর্কিত ফিল্ম দেখতে। তামিলনাড়ুর মোট উনিশটি মাল্টিপ্লেক্সে রিলিজ করেছিল ‘দ্য কেরালা স্টোরি’।
তবে বাংলা ও তামিলনাড়ুর প্রতিভাশালী ব্যক্তিবর্গ কি করলেন বা কি বললেন তাতে সত্যিই সুদীপ্তর কিছু যায়-আসার কথা নয়। কারণ ইতিমধ্যেই চলতি বছরের দ্বিতীয় বৃহত্তম হিট ফিল্মের তকমা পেয়ে গিয়েছে ‘দ্য কেরালা স্টোরি’। খুব শীঘ্রই এই ফিল্ম মুক্তি পেতে চলেছে ইউকে-তে।
View this post on Instagram