বহুদিন অমৃতা রাও (Amrita Rao)-কে বড় পর্দায় দেখা যায় না। কিন্তু তাঁর নিজস্ব ইউটিউব চ্যানেল রয়েছে। তাতে নিয়মিত ভ্লগ পোস্ট করেন তিনি। 2019 সালে শেষবার তাঁকে বালাসাহেব ঠাকরে (Balasaheb Thakre)-র বায়োপিক ‘ঠাকরে’-য় অভিনয় করতে দেখা গিয়েছিল। কিন্তু তারপরেই বড় পর্দা থেকে রাতারাতি উধাও অমৃতা। তাঁকে নাকি তাঁর স্বামী আরজে আনমোল (Rj Anmol) অভিনয় ছাড়তে বলেছিলেন।
একটি সাক্ষাৎকারে অমৃতা জানিয়েছেন, বিয়ের আগেই আনমোল তাঁকে অভিনয় ছেড়ে সংসারে মন দেওয়ার পরামর্শ দেন। আনমোলের কথা শুনে চমকে গিয়েছিলেন অমৃতা। কিন্তু আনমোল পরে নিজের ভুল বুঝতে পেরে অমৃতার কাছে ক্ষমা চান। প্রকৃতপক্ষে, চুম্বন বা যৌন দৃশ্যে অভিনয় করতে অমৃতার অস্বস্তি হয়। এই কারণে একাধিক বড় বড় ফিল্মের প্রস্তাব ফিরিয়ে দিয়েছিলেন তিনি। এমনকি ফিরিয়ে দিয়েছেন আদিত্য চোপড়া (Aditya Chopra)-র তরফে যশরাজ ফিল্মস-এর ইন-হাউস হিরোইন হওয়ার প্রস্তাব। তাঁর সমস্যার কারণে আনমোল, অমৃতাকে মন দিয়ে সংসার করার পরামর্শ দিয়েছিলেন। তবে দুই দিন পরেই আনমোল বুঝতে পারেন, তিনি নিজের সিদ্ধান্ত অমৃতার উপর চাপিয়ে দিচ্ছেন। ফলে নিজেই অমৃতার কাছে ক্ষমা চান আনমোল।
View this post on Instagram
2002 সালে ‘আব কে বরস’ ফিল্মে বলিউড ডেবিউ ঘটলেও শাহিদ কাপুর (Shahid kapoor)-এর বিপরীতে ‘ইশ্ক ভিশ্ক’ ও ‘বিবাহ’ সিনেমার মাধ্যমে অভিনেত্রী হিসাবে সফলতা পান তিনি। শাহিদ ও অমৃতার জুটি দর্শকদের কাছে প্রশংসিত হয়। একের পর এক ফিল্মে অভিনয় করেছেন এই জুটি।
2014 সালে চুপিসাড়ে আনমোলের সাথে সাতপাকে বাঁধা পড়েন অমৃতা। পরে ইউটিউব চ্যানেলে তাঁদের বিয়ের খবর জানান তাঁরা। 2020 সালে তাঁদের পুত্রসন্তানের জন্ম হয়।
View this post on Instagram
