whatsapp channel

Bappi Lahiri: কি পরিণতি হলো বাপ্পি লাহিড়ীর শখের সোনার অলংকারগুলির!

গত ফেব্রুয়ারি মাসের ১৫ তারিখে ভারতের সুরের জগতকে স্তব্ধ করে চির নিদ্রার দেশে পাড়ি দেন বাপ্পি লাহিড়ী। ৬৯ বছর বয়সে স্লিপ অ্যাপনিয়ায় আক্রান্ত হয়ে গোটা সঙ্গীত জগতের সমস্ত সুরকে স্তব্ধ…

Avatar

HoopHaap Digital Media

Updated on:

গত ফেব্রুয়ারি মাসের ১৫ তারিখে ভারতের সুরের জগতকে স্তব্ধ করে চির নিদ্রার দেশে পাড়ি দেন বাপ্পি লাহিড়ী। ৬৯ বছর বয়সে স্লিপ অ্যাপনিয়ায় আক্রান্ত হয়ে গোটা সঙ্গীত জগতের সমস্ত সুরকে স্তব্ধ করে দিয়ে চিরবিদায় নেন তিনি। পরলোকে ভারতের প্রথম ডিস্কো কিং এর শান্তিতে থাকার জন্য কামনা করেছেন তাঁর অসংখ্য অনুরাগীরা। বাবার প্রয়াণের খবর পেতেই সঙ্গে সঙ্গে দেশে ছুটে আসেন ছেলে বাপ্পা লাহিড়ী। বাবার শেষ ইচ্ছা মত কলকাতার গঙ্গার ঘাটে অস্থি বিসর্জন হয় কিংবদন্তি গায়কের।

বাপ্পি লাহিড়ীর নাম শুনতেই সবার চোখে একটি আদল ভেসে ওঠে সেটি হলো চোখে সানগ্লাস এবং গলায় এক গোছা গয়না হাতের আংটির এবং ব্রেসলেটের সমাহার। তার আপাদমস্তক ছিল সোনায় মোড়া। স্বর্ণ ভূষণ যেন তার নামান্তর ছিল। জল ছাড়া মাছ যেমন ভাবা যায় না তেমনই সোনা ছাড়া বাপি লাহিড়ী কেউ ভাবতে পারেন না। তার স্বর্ণ সম্ভারে গোটা এক প্রজন্মের যে জীবনযাপনের রসদ হয়ে যাবে তা বলাই বাহুল্য। সেই অঢেল সোনার কি পরিণতি হল শেষে?

বাপ্পি লাহিড়ীর পুত্র বাপ্পি লাহিড়ী জানান, “ওই সব গয়না বাবার কাছে শুধুমাত্র ফ্যাশন স্টেটমেন্ট ছিল না। ছিল লাকি। ওগুলো না পরে বাবা কখনও বাড়ি থেকেও বেরতেন না। এমনকি সকাল পাঁচটার ফ্লাইট থাকলেও বাবা সব পরেই বের হতেন। গয়না ছিল বাবার কাছে মন্দিরের অনুরূপ। ছিল বাবার শক্তি। আধ্যাত্মিক যোগাযোগ ছিল বাবার ওই গয়নাগুলির সঙ্গে। তাই পরিবার থেকে ভাবা হচ্ছে কোনও মিউজিয়ামেই সংরক্ষণ করা হবে সেগুলিকে।”

গত পনেরোই ফেব্রুয়ারি প্রয়াত হয়েছেন কিংবদন্তী সঙ্গীতশিল্পী বাপ্পি লাহিড়ী। তাঁর প্রয়াণের সঙ্গে তিনি রেখে গেছেন সংগীত জগতে এক অপার শূন্যতা। তাঁর গানের ছন্দে মেতে উঠেছে দশকের পর দশক। প্রয়াত শিল্পীর অস্থি মুম্বই থেকে উড়িয়ে নিয়ে আসা হয় কলকাতায়। ভারতের প্রথম ডিস্কো কিং বাপ্পি লাহিড়ীর অস্থি বিসর্জনের দিন উপস্থিত ছিলেন স্ত্রী চিত্রাণি লাহিড়ী, পুত্র বাপ্পা লাহিড়ী, মেয়ে রেমা লাহিড়ী ও পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা।

বাপ্পি লাহিড়ীর চলে যাওয়া সংগীত জগতে এক নিঃসন্দেহে অপূরণীয় ক্ষতি। তার চলে যাওয়ায় শোকস্তব্ধ সুরের জগত। সংগীতের মহারথীদের এই চলে যাওয়া যেন সঙ্গীতপ্রেমী এবং স্বর্ণযুগের সংগীত অনুরাগীদের। অনেকের মতে এনাদের পরলোক গমনের সাথে সাথেই স্বর্ণযুগ সমাপ্তির পথে হাঁটছে।

whatsapp logo
Avatar
HoopHaap Digital Media