whatsapp channel

বাচ্চাদের বমি পরিষ্কার করতে হবে শুনেই ইচ্ছাটা চলে গেল: ইন্দ্রানী হালদার

সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় অপুর সংসার নামক রিয়্যালিটি শোয়ের বেশ কিছু ভিডিও নতুন করে ভাইরাল হয়েছে। প্রসঙ্গত অভিষেক চট্টোপাধ্যায়ের মৃত্যু থেকেই এর সূত্রপাত। এই অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করতেন শাশ্বত চট্টোপাধ্যায়। যিনি টলিউডের…

Avatar

HoopHaap Digital Media

Updated on:

সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় অপুর সংসার নামক রিয়্যালিটি শোয়ের বেশ কিছু ভিডিও নতুন করে ভাইরাল হয়েছে। প্রসঙ্গত অভিষেক চট্টোপাধ্যায়ের মৃত্যু থেকেই এর সূত্রপাত। এই অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করতেন শাশ্বত চট্টোপাধ্যায়। যিনি টলিউডের নানা সেলিব্রিটিদের চোখা প্রশ্ন করতেন। আজ সোশ্যাল মিডিয়ায় সেই অনুষ্ঠানের একটি বিশেষ এপিসোডের ভিডিও ভাইরাল হয়ে যায় যেখানে জাতীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত অভিনেত্রী ইন্দ্রানী হালদারকে বিশেষ অতিথি হিসেবে দেখা যাচ্ছে।

অভিনয় না করলে অভিনেত্রী কোন পেশা বেছে নিতেন? ইন্দ্রানী হালদার মজার ছলে জানান যে ছোটবেলায় তার এয়ার হোস্টেস হতে খুব ইচ্ছা করত কিন্তু যেই বাবার থেকে শুনলেন যে এয়ার হোস্টেস হতে গেলে বাচ্চাদের বমি পরিষ্কার করতে হবে তারপর থেকে তার সেই ইচ্ছা চলে যায়। তার মধ্যে এখনও শিশুসত্ত্বা রয়ে গিয়েছে। তাই তিনি এখনও কাজের ফাঁকে মোবাইলে বাচ্চাদের গেম খেলেন।

হাসির ছলে ইন্দ্রানী হালদার জানান তিনি নাকি এখনও প্রেমে পড়তে ভালোবাসেন। তিনি এই প্রসঙ্গে বলেন,“ আমার বর খুব লিবারেল। আমরা গিভ অ্যান্ড টেক পলিসিতে বিশ্বাস করি। ও আমায় স্পষ্টই বলে দিয়েছে তুমিও প্রেমে পড়ো আমিও প্রেমে পড়ি।”

তিনি জানান যে প্রতিবার পুজোয় কলকাতা থাকাটা তার অবশ্যই কর্তব্য। পাড়ার পুজোয় বোধন থেকে বিসর্জন অবধি সমস্ত কাজ একা হাতে পাকা গিন্নির মতো সামলে নেন তিনি। ইন্দ্রানী হালদারের স্বপ্নের চরিত্র হলো দেবী চৌধুরানী। তিনি জানান এখনও দেবী চৌধুরানী রূপে সুচিত্রা সেনকে দেখলে তিনি ঘোরের মধ্যে চলে যান।

ইন্ডাস্ট্রিতে নাকি বুম্বাদা অর্থাৎ প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায় নানাভাবে মুরগি হয়েছেন। এমনটাই মনে করেন ইন্দ্রানী হালদার। তার মতে প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায় কে সিঁড়ি হিসেবে ব্যবহার করে অনেকেই নিজেদের স্বার্থসিদ্ধি করেছেন কিন্তু তিনি নিজের জায়গায় অটুট থেকেছেন।

স্ত্রী হিসাবে তিনি একদমই ব্যর্থ একজন একথা তিনি অকপটে স্বীকার করে নেন। কাজের চাপে স্ত্রী হিসাবে বরের প্রতি কোনো দায়িত্বই পালন করে উঠতে পারেন না তিনি। ইন্দ্রানী হালদারকে জিজ্ঞাসা করা হয় যে তার জীবনের গভীর আক্ষেপ কি। তিনি দ্বিধাহীন ভাষায় বলে ওঠেন,“কাজ আর কাজ করতে করতে সন্তানের জন্ম আর দিতে পারলাম না। এটাই জীবনের সবথেকে বড় আক্ষেপ। একটা সময় আমরা অনেক চেষ্টা করেছিলাম। কিন্তু যখন আমাদের দুজনেরই বয়স চল্লিশ পেরিয়েছে আমরা হাল ছেড়ে দিই। আমি ভাস্করকে বলতাম যে আমরা বাচ্চা অ্যাডপ্ট করি। কিন্তু ও রাজি হতো না।” তবে সন্তানের জন্ম না দেওয়ার জন্য তাদের দাম্পত্য জীবনে কোন কলহ নেই। তারা ইন্ডাস্ট্রির অন্যতম একজন সুখী দম্পতি। এমনটাই জানান ইন্দ্রানী হালদার।

whatsapp logo
Avatar
HoopHaap Digital Media