টলিপাড়ার প্রথম সারির অভিনেত্রী হলেন শুভশ্রী। তার ইনস্পিরেশান তার দিদি। ছোটবেলার থেকেই অভিনেত্রীকে তার দিদি উৎসাহিত করেন। তার দিদি সকল পরিস্থিতিতেই শুভশ্রী পাশে থেকেছেন। প্রথমে অভিনেত্রীর বাড়ির তরফ থেকে আপত্তিও জানানো হয়। অডিশন দিতে যাওয়ার সময় তার বাবা তুমুল বিরোধিতা জানান।
তার মাকে অনেক কটাক্ষের মুখোমুখি হতে হয় এর জন্য। তার পরিবার আগাগোড়া রক্ষনশীল পরিবার ছিল। মার্কেটিং করতে যাওয়ার অজুহাত দিয়ে তারা এসেছিলেন টলিপাড়ায়। অডিশন দেওয়ার কিছুদিনের মধ্যে তিনি সিলেক্টেড হয়ে যান। পরে অনেক কষ্টে বাবাকে অভিনয়ের জন্য রাজি করাতে পারেন অভিনেত্রীর বাবা। শুভশ্রীর আদ্যোপান্ত মফস্বলের মেয়ে কলকাতায় এসে কিভাবে ইন্ডাস্ট্রিতে একজন সফল অভিনেত্রী হয়ে উঠবেন এই বিষয়ে সন্দেহের ছিলেন অভিনেত্রীর বাবা।
তবে শুভশ্রী যেদিন প্রথম অভিনয়ের জন্য পুরস্কার পান সেদিন শুভশ্রী বাবা আবেগে আপ্লুত হয়ে পড়েছিলেন। তবে দেবকে একবার তিনি বিস্ফোরক মন্তব্য করেন। দেবশংকর হালদার সঞ্চালিত একটি অনুষ্ঠানে গিয়ে শুভশ্রীকে সঞ্চালক দেবশংকর হালদার জিজ্ঞাসা করেন যে জীবনে এমন কোন জিনিস আছে যা তার অভিনয় কে প্রভাবিত করেছিল। অভিনেত্রী অকপটে জানান যে তিনি বেশ কিছু সময়ের জন্য অভিনয় থেকে বিচ্যুত হয়ে যান।
কিন্তু তিনি অভিনয় থেকে দূরে সরে যাওয়ার জন্য কাউকে দায়ী করতে চান নি অভিনেত্রী। যদিও তিনি এই সিদ্ধান্তের জন্য নিজেকেই সম্পূর্ণরূপে দোষী মনে করেন। কারণ যে সিদ্ধান্তের জন্য তিনি অভিনয় থেকে দূরে সরে যেতে চেয়েছিলেন সেই সিদ্ধান্তই তার পক্ষে বুমেরাং করেছিল। কিন্তু অভিনেত্রী অনুশোচনা করেন না যে কেন তিনি নিজের কেরিয়ারের চারটি বছর অপাত্রে দান করেছিলেন।
এই কঠিন সময়ে বাবা-মাকে তিনি এক বিন্দুও জানাতে পারেননি তার মনের অবস্থা। তিনি শুধু নিজের মনের মধ্যে ভয়ানক একাকীত্বই জমিয়ে গিয়েছিলেন। কিন্তু তারপর ইন্ডাস্ট্রিতে মন দিয়ে কাজ করার ফলাফল তিনি পান। পরিণীতার মত সিনেমার মাধ্যমে তিনি দুর্দান্ত কামব্যাক করে টলিউডে। বর্তমানে তিনি স্বামী পরিচালক এবং ব্যারাকপুরের বিধায়ক রাজ চক্রবর্তী এবং পুত্র ইউভানকে নিয়ে খোশমেজাজে সংসার করছেন।