Hoop PlusRegional

Victor Banerjee: আর্জেন্টিনার ছবিতে রবীন্দ্রনাথের ভূমিকায় বাংলার অভিনেতা ভিক্টর বন্দ্যোপাধ্যায়

কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর (Rabindranath Tagore)-এর কবিতার ছত্রে প্রভাব রয়েছে ভিক্টোরিয়া ওকাম্পো (Victoria Okampo)-র। অনেকে হয়তো শুনেছেন ভিক্টোরিয়ার নাম। অনেকের আবার বরাবরের প্রশ্ন রবীন্দ্রনাথ ও ভিক্টোরিয়ার সম্পর্ক নিয়ে। কিন্তু এবার সব জল্পনার অবসান ঘটিয়ে রবীন্দ্রনাথ ও ভিক্টোরিয়ার কাহিনী ফুটে উঠতে চলেছে রূপোলি পর্দায়। এই ফিল্মটি পরিচালনা করছেন আর্জেন্টিনাবাসী পরিচালক পাবলো সিজার (Pablo Seizure)।

ফিল্মের চিত্রনাট্যও লিখেছেন পাবলো। রবীন্দ্রনাথের ভূমিকায় দেখা যাবে ভিক্টর বন্দ্যোপাধ্যায় (Victor Banerjee)-কে। ভিক্টোরিয়ার ভূমিকায় অভিনয় করছেন আর্জেন্টিনার অভিনেত্রী এলিওনোরা ওয়েক্সলার (Elionora Wexler)। এই ফিল্মে অভিনয় করছেন রাইমা সেন (Raima Sen)-ও। 1924 সালে জলপথে পেরু যাত্রা করেন রবীন্দ্রনাথ। কিন্তু জাহাজেই হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। ঘটনাচক্রে সেই সময় জাহাজটি আর্জেন্টিনা পেরোচ্ছিল। রবীন্দ্রনাথের অসুস্থতার খবর জানতে পারেন লেখিকা ভিক্টোরিয়া। সেই সময় রবীন্দ্রনাথ রচিত ‘গীতাঞ্জলী’ পেরিয়ে গিয়েছে সাগরপাড়। ভিক্টোরিয়াও পরেছেন রবীন্দ্রনাথের লেখা, তবে ফরাসী অনুবাদে। দ্রুত ভিক্টোরিয়ার ব্যবস্থাপনা ও তৎপরতায় রবীন্দ্রনাথকে নিয়ে আসা হয় তাঁর বাড়িতে। মাত্র চৌত্রিশ বছর বয়সী ভিক্টোরিয়া সেদিন রবীন্দ্রনাথের সেবায় নিজেকে নিয়োজিত করেছিলেন।

সম্পূর্ণ সুস্থ হওয়ার পর 1925 সালের জানুয়ারি মাসে ভিক্টোরিয়ার কাছ থেকে বিদায় নেন রবীন্দ্রনাথ। অনেকের মতে, এই নাতিদীর্ঘ সময়ের মধ্যে ভিক্টোরিয়া ও রবীন্দ্রনাথের একটি সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল। কিন্তু সত্যিই কি কোনো সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল দুজনের মধ্যে? কারণ সমাজ তো এক পুরুষ ও এক নারীকে পাশাপাশি দেখলে তাঁদের নিয়ে রটনা শুরু করে। পঁচিশে বৈশাখের প্রাক্কালে এটাও ভেবে দেখার বিষয়, কোথাও মানুষ রবীন্দ্রনাথ ও ভিক্টোরিয়ার সম্পর্ককে ভুল ব্যাখ্যা করছেন না তো! একবার পরমব্রত চট্টোপাধ্যায় (Parambrata Chatterjee) বলেছিলেন, ভিক্টোরিয়া ও রবীন্দ্রনাথকে নিয়ে তিনি প্রজেক্ট বানাতে চান। কিন্তু এখনও অবধি তা নিয়ে পরমব্রত আর কোনো কথা বলেননি।

আগামী 6 ই মে, অর্থাৎ আর মাত্র একদিন পর মুক্তি পেতে চলেছে পাবলো নির্মিত ‘থিংকিং অফ হিম’। পাবলো 1994 সাল থেকে ভারতকে চিনেছেন। তাঁর সেই প্রক্রিয়া এখনও চলছে। তাঁর মতে, এত বড় দেশের হৃদয়কে বুঝতে পারা সম্ভব না হলেও শুটিংয়ের সময় কিছুটা হলেও ভারতীয় মননকে চিনেছেন তিনি। পাবলো অন্তর থেকে ভালোবাসেন ভারতকে। তাঁর সাথে যৌথভাবে ফিল্মটি পরিচালনা করেছেন ভারতীয় পরিচালক সূর্য কুমার (Surya Kumar)।

Related Articles