একই বলে “উদোর পিণ্ডি বুধোর ঘাড়ে”? বেচারা রাজনীতিবিদ হয়ে ঈদ উদযাপনের জন্য স্বশরীরে এগিয়ে এসেছিলেন রাজ চক্রবর্তী, কিন্তু, মানুষ তার নতুন রূপ নিয়ে এক হাত নেন। ব্রাহ্মণ সন্তান হয়ে মাথায় টুপি, মুখে হাসি, মসজিদে ঈদ উদযাপন! যদিও, এই দেশ ধর্ম নিরপেক্ষ। এখানে সকল ধর্মের উৎসব হয়, আনন্দ উৎসবে মেতে থাকে সকলে, এরপরেও কটাক্ষ!!! চলুন দেখি রাজের ঈদ উদযাপনের কিছু মুহূর্ত।
“কি অবস্থা, শুভ অক্ষয় তৃতীয়া, এটা পশ্চিমবঙ্গ তো। নাকি আমি ভুল করছি।। পাক বাংলাদেশ। সত্যি আপনারা ই পারেন।। আজ অক্ষয় তৃতীয়া একটু মনে করিয়ে দিলাম।।দেশে ফিরে আপনাকে ভোট দেবনা।” “সং সেজে ঢং করে কোনো ধর্মের শুভেচ্ছা জানাতে হয় বলে আমি মনে করি না, দেখি Christmas e উনি পাদ্রী সাজেন কিনা, পায়জামা পাঞ্জাবি পরে অক্ষয় তৃতীয়র ছবি দিলেও বুঝতাম সমান চোখে দেখছে, এতো শুধুই ভোট জোগাড়ের আছিলা মাত্র”। কেউ কটাক্ষ করে বলেছেন, “হায়রে রাজনীতি!”।”কুরবানের ঈদেও আপনার এমন উপস্থিতি কামনা করি”। ফেসবুকের কমেন্ট সেকশনে গেলে এরকমই কমেন্টের উদাহরণ অজস্র ঘোরাফেরা করছে।
উল্লেখ্য, টিটাগড়ে এক মসজিদে যান পরিচালক তথা নবাগত রাজনীতিবিদ রাজ চক্রবর্তী। পরনে সাদা পোশাক, মাথায় টুপি। দেখে বোঝার উপায় নেই তিনি হিন্দু না মুসলিম। অবশ্য, মানুষের শরীর দেখে কিছুই বোঝা সম্ভব নয়, সবটাই থাকে পোশাকে এবং আচরনে।
কিন্তু, কোথায় অক্ষয় তৃতীয়ার শুভেচ্ছা? রাজ কি ভুলে গিয়েছিলেন যে ঈদের দিনই ছিল অক্ষয় তৃতীয়া? প্রশ্ন নেট জনতার। কেউ কেউ রাজের এমন বিপ্লবী চিন্তাধারার জন্য “রাজ শেখ” উপাধি দিয়েছেন।