একি মৃত্যু মিছিল নাকি মৃত্যু মাস? একই মাসে তিন তিনটে জ্বলন্ত প্রাণ আত্মহত্যার পথ বেছে নেন! হ্যাঁ, পল্লবী, বিদিশার পর আরো একটি ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। মৃতার নাম মঞ্জুষা নিয়োগী (Manjusha Neogi)। ইনি পেশায় মডেল এবং বিদিশার (Bidisha De Majumdar) বান্ধবী।
এদিন Patuli থেকে দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। ঠিক কি হয়?
মঞ্জুষা পেশায় একজন মডেল এবং তিনি বিবাহিতা। মঞ্জুষা’র মা ও স্বামী চাইতেন মঞ্জুষা ঘরে থাকুক এবং খাওয়া দাওয়া করে সংসার করুক। কিন্তু তিনি কাজ করতে চাইতেন। নানান কারণে হাতে কাজ কম থাকে।তার জন্যেই কি সুইসাইড? নাহহ। মঞ্জুষা’র মায়ের দাবি, বান্ধবী বিদিশার মৃত্যুর ঘটনার পর থেকেই অবসাদে ছিলেন তিনি। সুইসাইডের কথা বলতেন মঞ্জুষা। অবশেষে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করলেন এই মডেল।
শুক্রবার মৃতার স্বামী নিতে আসে, কিন্তু তিনি যেতে চান না। এরপর মঞ্জুষা’র মা জামাইকে অনুরোধ করে বলেন যে কটা দিন থাকুক তাদের মেয়ে বাড়িতে। এরপরেই এমন কঠিন পথ বেছে নেন মঞ্জুষা। সেদিন অনেক ডাকাডাকির পরেও দরজা খোলে না মৃতা মডেল তথা অভিনেত্রী। শেষ দরজা ভাঙলে ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। উল্লেখ্য, পুলিশ এই ঘটনায় কোনও সুইসাইড নোট পায়নি। তবে, বিদিশার মৃত্যুর সঙ্গে এর কোনো যোগসূত্র আছে কিনা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
কোথায় কাজ করতেন মঞ্জুষা নিয়োগী?
মঞ্জুষা টলিউডে কাজ করতেন। এছাড়া, একটি টিভি চ্যানেলে ধারাবাহিকে অভিনয় করতেন। পাশাপাশি থিয়েটারেও অভিনয় করতেন তিনি।