গ্ল্যামার দুনিয়ায় ক্রমশ বেড়ে চলেছে আত্মহত্যার ঘটনা। কয়েক সপ্তাহের ব্যবধানে আত্মহত্যা করলেন পল্লবী দে (Pallavi Dey)এবং বিদিশা দে মজুমদার (Bidisha De Majumder)। বুধবার নাগেরবাজারের বন্ধ আবাসন থেকে বিদিশার ঝুলন্ত মৃতদেহ উদ্ধার হওয়ার পর তাঁর দেহ আরজিকর হাসপাতালে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে নাগেরবাজার থানার পুলিশ। দুটি আত্মহত্যার ঘটনাতেই উঠে আসছে ত্রিকোণ প্রেমের সম্পর্ক। বিদিশার বান্ধবী দিয়া দাস (Diya Das)জানিয়েছেন, অনুভব বেরা (Anubhab Bera) নামে একজন পুরুষের সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েছিলেন। অপরদিকে ভাইরাল হয়ে গিয়েছে একটি অডিও ক্লিপ।
অডিও ক্লিপটির সত্যতা যাচাই করছে পুলিশ। দিয়ার সঙ্গে অনুভবের কথোপকথন রয়েছে সেই অডিও ক্লিপে। অনুভব বলেছেন, বিদিশার সঙ্গে তাঁর শারীরিক সম্পর্ক ছিল। কিন্তু তিনি কোনোদিন বিদিশাকে ‘আই লাভ ইউ’ বলেননি। অথচ দিয়াকে হোয়্যাটসঅ্যাপ চ্যাটে বিদিশা লিখেছিলেন, তিনি মা-বাবার থেকেও অনুভবকে বেশি ভালোবাসেন। বিদিশার ঘর থেকে একটি ডায়েরি ও দুটি মোবাইল ফোন বাজেয়াপ্ত করেছে পুলিশ। খতিয়ে দেখা হচ্ছে মোবাইলের কললিস্ট। ছোট থেকেই বিদিশার ডায়েরি লেখার অভ্যাস ছিল। ফলে এই ডায়েরি পুলিশি তদন্তে যথেষ্ট সহায়ক হতে চলেছে।
বিদিশার ডায়েরিতে লেখা রয়েছে তিনি ক্যান্সারে আক্রান্ত ছিলেন। এমনকি লেখা রয়েছে তাঁর পেশাগত টানাপোড়েন ও সম্পর্কের চড়াই-উতরাই-এর কথাও। তবে সত্যিই বিদিশা ক্যান্সারে আক্রান্ত ছিলেন কিনা তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। বিদিশার মৃতদেহের পাশে মিলেছে একটি সুইসাইড নোট যাতে তিনি নিজের মৃত্যুর জন্য কাউকে দায়ী করে যাননি। বিদিশা সেখানেও লিখেছেন তাঁর ক্যান্সার আক্রান্ত হওয়ার কথা ও পেশাগত চাপের কথা।
বিদিশার মায়ের দাবি, তিনি আত্মহত্যা করতে পারেন না। তাঁর মা বিদিশার মৃত্যুর জন্য দোষীদের কঠোর শাস্তির দাবি করেছেন। বিদিশার কোনো ফটোশুট দেখে মনে হচ্ছে না, তিনি ক্যান্সারে আক্রান্ত। খুব সম্ভবতঃ বিদিশা হয়তো সদ্য জেনেছিলেন, তিনি ক্যান্সার আক্রান্ত। অপরদিকে পুলিশের নজর এই মুহূর্তে অনুভবের দিকে। মেদিনীপুরের ছেলে অনুভব কলকাতার একটি জিমের ট্রেনার। সেই জিমেই বিদিশার সাথে তাঁর আলাপ হয়েছিল। ক্রমশঃ বিদিশার মৃত্যুরহস্য ঘনীভূত হচ্ছে। ক্যান্সার আক্রান্ত হওয়ার কথা জানতে পেরেই কি বিদিশা নিজের জীবনে ইতি টানলেন? নাকি তিনি প্রতারিত হয়েছিলেন অনুভবের কাছে?
View this post on Instagram