“১৫,২৫,২৭,২৮” এই চারটি শুধু কোনো সংখ্যা নয়। চারটি হল তারিখ। এই চারদিনে ঘটে যায় চারটি মেয়ের মৃত্যু। বলা যেতে পারে আত্মহত্যা (suicide ). পল্লবী,বিদিশা, মঞ্জুষা, এবং চার নং এ যিনি আছেন তিনি এই তিনজনের থেকেও কনিষ্ঠ।
নাম – সরস্বতী দাস ( Saraswati Das) । বয়স – ১৮ (18).
পেশা – মেকআপের পাশাপাশি ফোটোশ্যুটের কাজও করতেন। চলতো ভিডিও শ্যুটের কাজ এবং কিছু টিউশন।
মৃত্যুর অবস্থা – ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়।
দিদার বাড়িতে মায়ের সঙ্গে থাকতেন এই আঠারো বছরের প্রানবন্ত মেয়ে। নাতনির মৃত্যুর ব্যাপারে দিদার বয়ান – আমি পাশের ঘরেই ছিলাম। গিয়ে দেখি ফ্যানের সঙ্গে ঝুলছে।
মৃতার মায়ের কথা অনুযায়ী, কারও সঙ্গে কি সম্পর্ক আছে? থাকলে বল। কিন্তু কিচ্ছু বলেনি। কাল বিকেলেও বেরলো। পছন্দের হলুদ জানা পরে গেল। আমাদের সঙ্গে কিথু শেয়ার করেনি। শুধু বলেছিল, নিজে বিয়ে করে নেব। কেরিয়ারে মন দিতে চাইত।
এদিকে, ময়নাতদন্তের প্রাথমিক রিপোর্ট বলছে এটি আত্মহত্যা। কিন্তু, কেনো? একই মাসের মধ্যে চার চারটি আত্মহত্যা। এটা কি নেশা নাকি বাঁচার একমাত্র পথ?? মানুষ এখনও পল্লবী বিদিশার শোক ভুলতে পারেনি। শহরের বুকে চার চারটে আত্মহত্যা। মোটিভ কী হতে পারে? বেশিরভাগ মানুষ দুটো জিনিসই অনুমান করছেন, হয় প্রেম নয় কাজ। পাশাপাশি যারা মন বিশেষজ্ঞ তারাও এখনও বুঝে উঠতে পারছেন না এভাবে আত্মহত্যা করার কি কারণ। কারণ, মানুষের মন সবথেকে জটিল অংশ। একে অনুধাবন করা সহজ নয়। তাই চারটি মেয়ের মাথায় মৃত্যুর আগে কি চলছিল বোঝা মুশকিল।