কলকাতার প্রাক্তন মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায় (Sovan Chatterjee)-কে অবশ্য পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) কিন্তু ‘রঙিন ছেলে’ বলেননি। তবু শোভন রঙিন হয়েই চলেছেন। বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায় (Baishakhi Banerjee)-র বাড়ি আপাতত শোভনের অলিখিত অথচ অশোভনীয় শ্বশুরবাড়ি। বৈশাখীর স্বপ্ন ছিল শোভনের আইনত বিবাহিতা স্ত্রী রত্না চট্টোপাধ্যায় (Ratna Chatterjee)-কে তাঁর বাড়ি থেকে উৎখাত করে সেই বাড়িতে জামাইষষ্ঠী পালন করবেন। কিন্তু রত্নার মারমুখী রূপ দেখে বোধহয় আর এগোতে ভরসা পাননি তিনি। তাই মনের সাধ মনে রেখে শোভনকে সামনে বসিয়ে জামাইষষ্ঠী পালন করলেন বৈশাখী।
এতটুকু পড়েই অজ্ঞান হয়ে যাওয়ার কোনও দরকার নেই। সত্যিই জামাইষষ্ঠীর দিন শোভনকে রীতিমত সামনে বসিয়ে সমস্ত রীতি মেনে জামাইষষ্ঠী পালন করেছেন বৈশাখী। এদিন গোলপার্কের বাড়িতে লাল শাড়িতে সেজেছিলেন বৈশাখী। তিনি জানালেন, তাঁর মায়ের নির্দেশেই সমস্ত নিয়ম মেনে পালিত হয়েছে জামাইষষ্ঠী। বৈশাখীর মা অসুস্থ থাকায় তিনি এই অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করতে পারেননি। ফেসবুকে জামাইষষ্ঠীর ছবি শেয়ার করে বৈশাখী লিখেছেন, শোভন তাঁর মায়ের চোখে জামাই-এর তুলনায় সন্তানই বেশি।
এদিন বাঙালি রীতি মেনে সামনে পঞ্চব্যঞ্জন ও এক থালা মিষ্টি দেখে তো রীতিমত উৎফুল্ল শোভন। তাঁর পরনে ছিল লাল -সাদা চেক কুর্তা। একই সাথে নিজের মেয়ে মহুল (Mahul)-কেও এদিন থালা সাজিয়ে খাইয়েছেন বৈশাখী। মহুলের পরনেও ছিল লাল ফ্রক। সমস্ত খাবার পরিবেশন করা হয়েছিল রূপোর থালায়, রূপোর গ্লাসে ছিল জল। রূপোর চামচে নিজে হাতে শোভনকে খাবার খাইয়ে দিয়েছেন বৈশাখী। শোভনের মাথায় হাত রেখে আশীর্বাদও করলেন বৈশাখী। শাশুড়ির মতো পাশে বসে ‘জামাই’ শোভনকে যত্ন করে খাওয়ালেন তিনি।
তবে এবার ব্যাপারটা সত্যিই গুলিয়ে যাচ্ছে। বৈশাখী কি তাহলে গার্লফ্রেন্ড থেকে ভায়া দ্বিতীয় বৌ হয়ে শেষ অবধি হয়ে গেলেন শোভনের শাশুড়িমা? ওহ, লাভলী!