প্রায় প্রতিটি বিবাহ বিচ্ছেদের নেপথ্যে তাকে বৃহৎ কারণ। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই মেয়েদের দিকে আঙুল তোলা হয়। কিন্তু অনেকেই খতিয়ে দেখেন না, প্রকৃত ঘটনা কি। নিজের বিবাহ বিচ্ছেদের প্রায় দুই বছর পর চমকে দেওয়ার মতো কারণ সামনে আনলেন বাংলাদেশের নামী অভিনেত্রী ও গায়িকা শবনম ফারিয়া (Sabnam Faria)।
View this post on Instagram
প্রসঙ্গ ছিল বাংলাদেশের একটি বধূ নির্যাতনের ঘটনা। সোশ্যাল মিডিয়ার দৌলতে তা সমগ্র দুনিয়ায় ভাইরাল হয়ে যায়। অত্যাচারিত বধূর প্রতি সমবেদনা জানিয়ে কমেন্ট করেন অভিনেত্রী লোপা সুলতানা (Lopa Sultana), শবনম ফারিয়ার মতো তারকারা। এই কমেন্টেই সবাইকে চমকে দিয়ে নিজের বিবাহিত জীবনের অত্যাচারের কথা তুলে ধরেন শবনম। তিনি বলেন, তিনিও বধূ নির্যাতনের শিকার। শবনম জানিয়েছেন, তাঁর সঙ্গে তাঁর স্বামী হারুনুর (Harunur)-এর সংসারে সমস্যার সূত্রপাত ঘটে। হারুনুরের অত্যাচারে তাঁর হাত ভেঙে গিয়েছিল।
‘দেবী’ ফিল্মের প্রোমোশন তিনি ভাঙা হাত নিয়েই করেছিলেন। সেই সময় লোকলজ্জার কারণে আর পাঁচটা মেয়ের মতোই নিজের উপর স্বামীর অত্যাচারের কথা গোপন করে গিয়েছিলেন শবনম। তিনি সকলকে বলেছিলেন, সিঁড়ি থেকে পড়ে চোট পেয়েছেন। সাহস করে সেই সময় হারুনুরের বিরুদ্ধে যেতে পারেননি শবনম। কারণ তাঁর মনে হত, তাঁকে হারুনুরের সাথেই থাকতে হবে। নাহলে লোকসমাজের ভয় রয়েছে।
কিন্তু শবনমের মা তাঁর পাশে থেকে তাঁকে এগিয়ে চলার সাহস যুগিয়েছেন। সমস্ত ঘটনা জানানোর পর সোশ্যাল মিডিয়ায় শবনম একটি পোস্ট করে লিখেছেন, তিনি কারও সম্মানহানি ঘটাতে চাননি। বিয়ে নামক প্রতিষ্ঠানের প্রতি এখনও তাঁর আস্থা রয়েছে। তবে তিনি সেদিন বেঁচে গিয়েছিলেন তাঁর মা-বোন পাশে ছিলেন বলে। কিন্তু শবনম তাঁর বন্ধুদের পরামর্শ দেন, বিচ্ছেদের পথে না গিয়ে আলোচনার মাধ্যমে সমস্যা মিটিয়ে নিতে।