ঋতাভরী চক্রবর্তী (Ritabhari chakraborty) সবসময়ই নিজের স্বকীয়তায় উজ্জ্বল। ইদানিং একটি কাউন্সেলিং সেন্টারের সঙ্গে যৌথভাবে ঋতাভরী শুরু করেছেন সাইকোলজিক্যাল কাউন্সেলিং। করোনা অতিমারীর কারণে ঘরে থাকতে থাকতে, দীর্ঘদিন আত্মীয়স্বজনের কাছ থেকে দূরে থাকতে অনেকেই মানসিক সমস্যার শিকার হচ্ছেন, তাঁদের সাহায্য করতেই ঋতাভরীর এই ছোট্ট প্রচেষ্টা। কিন্তু ঋতাভরী নিজেও মানসিক অবসাদে আক্রান্ত।
এদিন ইন্সটাগ্রামে নিজের একটি ছবি শেয়ার করে ঋতাভরী লিখেছেন নিজের মানসিক অবসাদের কথা। একসময় ঋতাভরী প্রচন্ড ডায়েট মেনে চলতেন। প্রায় প্রতিদিনই সকালে উঠে আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে তিনি লক্ষ্য করতেন, তাঁর শরীরের কোথাও বাড়তি মেদ জমেছে কিনা। 2013 সাল থেকে কঠিন ডায়েট অনুসরণ করতে শুরু করেছিলেন ঋতাভরী। কিন্তু আট মাস আগে তিনি হঠাৎই অসুস্থ হয়ে পড়েন। তাঁর পরপর দুটো সার্জারি হয়। এইসময় বেডরেস্টে থাকতে হয়েছিল তাঁকে। বিছানায় শুয়ে ঋতাভরী ভাবতেন, তাঁর এই যন্ত্রণার অবসান কবে হবে।
সার্জারি সফল হলেও মানসিক অবসাদের শিকার হন ঋতাভরী। যার জের এখনও চলছে। ঋতাভরী নিজেকে বোঝাতে চেষ্টা করছেন, অবসাদ একদিনে কাটে না। কিন্তু উচ্চাকাঙ্খী ঋতাভরীর ধৈর্য্য ক্রমশ কমতে শুরু করেছে। ঋতাভরী তাঁর এই পোস্টটি করে জানিয়েছেন, শারীরিক যন্ত্রণা নয়, মানসিক অবসাদ থেকে তিনি সেরে ওঠার চেষ্টা করছেন। মানসিক অবসাদের জন্য তিনি অনেক কাজ থেকে সরে এসেছিলেন।
তবে ঋতাভরী জানিয়েছেন, নিজের মানসিক অবসাদ নিয়ে মুখোমুখি এর বেশি কথা বলার জন্য এখনও সময় আসেনি। তবে খুব শীঘ্রই তিনি মানসিক অবসাদ নিয়ে বিস্তারিত কথা বলবেন। জানাবেন তাঁর সুস্থ হয়ে ওঠার রেমিডি। অনুরাগীদের উদ্দেশ্যে ঋতাভরী তাঁর পাশে থাকার জন্য অনেক ভালোবাসা ও ধন্যবাদ জানিয়েছেন। তিনি জানিয়েছেন, খুব তাড়াতাড়ি তিনি অভিনয়ে ফিরবেন। আপাতত সুস্থ হয়ে সুন্দরভাবে নিজের গ্রুমিং করতে চান ঋতাভরী।
View this post on Instagram