Sreemoyee Chattoraj: কাঞ্চন পিঙ্কির বিচ্ছেদের কারণ সম্পূর্ণ ব্যক্তিগত, নিজেকে দোষী মনে করেন না শ্রীময়ী
বেলা গড়াতেই ইন্ডাস্ট্রিতে দাবানলের মতো ছড়িয়ে পড়েছে পিঙ্কি বন্দ্যোপাধ্যায় (Pinky Banerjee)-র বিরুদ্ধে কাঞ্চন মল্লিক (Kanchan Mullick)-এর দায়ের করা আদালত অবমাননার মামলার কথা। কাঞ্চন এই মুহূর্তে তাঁদের একমাত্র পুত্রসন্তান ওশো (Osho)-কে কাছে পেতে মরিয়া। কিন্তু পিঙ্কি পিতা-পুত্রের সাক্ষাতে বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছেন বলে অভিযোগ কাঞ্চনের। তাঁর এই অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন পিঙ্কি। আবারও এই মামলা উস্কে দিয়েছে শ্রীময়ী চট্টরাজ (Sreemoyee Chattaraj)-এর নাম।
গত বছর কাঞ্চনের সঙ্গে শ্রীময়ীর প্রেমের গুঞ্জন রটার পর থেকেই শ্রীময়ীর কেরিয়ার খুব একটা উজ্জ্বল নয়। তবে পিঙ্কিও দারুণ সফল, এই কথা বলা যায় না। তবে শ্রীময়ী স্টারকিড নন। একটি সাধারণ পরিবারের মেয়ের মতোই মধ্যবিত্ত মানসিকতা তাঁর। ফলে তাঁকে নিয়ে এই ধরনের রচনার ফলে অপমানিত বোধ করছেন তিনি। অপরদিকে অসম্মানিত হচ্ছেন শ্রীময়ীর পরিবারের সদস্যরাও। শ্রীময়ী জানিয়েছেন, গত দশ বছর ধরে কাঞ্চন ও পিঙ্কির সম্পর্ক অত্যন্ত তিক্ততা বহন করছে। সেই তিক্ততা জনসমক্ষে আসার পর শ্রীময়ীকে ‘শিখন্ডী’ করা হচ্ছে বলে দাবি করলেন তিনি। কিন্তু কাঞ্চনের পরিবারের সঙ্গে শ্রীময়ীর অনেক দিনের সম্পর্ক। ফলে একজন শুভাকাঙ্খী হিসাবে তিনি চান, কাঞ্চনের সাথে পিঙ্কির বিয়েটা টিকে যাক।
View this post on Instagram
শ্রীময়ী জানালেন, গত দশ বছর ধরে এক ছাদের নিচে থাকেন না কাঞ্চন ও পিঙ্কি। তাঁদের মিটমাট করাতে কাঞ্চনের সাথে কথা বলেছেন শ্রীময়ী। এমনকি ফোন করে এক ঘন্টা ধরে পিঙ্কিকে বুঝিয়েছেন। কিন্তু গত এক বছর ধরে কাঞ্চন ও পিঙ্কির বিবাহ বিচ্ছেদের জন্য তাঁকেই দায়ী করা হচ্ছে। তবে শ্রীময়ী নিজেকে দোষী ভাবেন না। তিনি 2012 সাল থেকে কাঞ্চনকে চেনেন। একসাথে অভিনয় করেছেন ‘বাবুসোনা’ ধারাবাহিকে। ইন্ডাস্ট্রিতে শ্রীময়ীর বন্ধুর সংখ্যা হাতেগোনা। কিন্তু তারপরেও তাঁকে নিয়ে এই ধরনের অপবাদ রটতে পারে, তা কখনও ভাবেননি শ্রীময়ী। তাঁর মা-বাবাও ধীরে ধীরে বিষয়টি বুঝেছেন।
শ্রীময়ীর মতে, কাঞ্চন ও পিঙ্কির দাম্পত্য মজবুত ছিল না। তাই তাঁদের ঘর ভাঙার মুখে। ফলে শ্রীময়ীকে অযথা দোষ দিয়ে লাভ নেই। পাশাপাশি শ্রীময়ীর খারাপ লাগছে ওশোর জন্য। কারণ একটি শিশুর বেড়ে ওঠার পথে মা-বাবা উভয়ের সান্নিধ্য প্রয়োজন হয়। কিন্তু তার মা-বাবা গত দশ বছর ধরে আলাদা থাকার পর এবার চিরতরে নিজেদের পথ বেছে নিতে চলেছেন। স্বাভাবিকভাবেই ওশো বিধ্বস্ত। সে বোঝাতে পারছে না, তার মা-বাবা দুজনকেই চাই।
View this post on Instagram