পশ্চিমবঙ্গ এই মুহূর্তে পরিণত হয়েছে দক্ষিণ ভারতে। দক্ষিণ ভারতের মতো পশ্চিমবঙ্গে প্রায় সকল শিল্পীরাই পরিণত হয়েছে রাজনীতিবিদে। সায়নী ঘোষ (Sayoni Ghosh) তাঁদের মধ্যে অন্যতম। থিয়েটার দিয়ে অভিনয় শুরু করেছিলেন। এরপর সিরিয়াল ও ধীরে ধীরে ফিল্মে অভিনয়। কিন্তু মাঝপথে তিনি হঠাৎই হয়ে গেলেন রাজনীতিবিদ। আপাতত 2024 সালের ভোট নিয়ে প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছেন সায়নী।
শনিবার পূর্ব বর্ধমানের কৃষ্ণদেবপুরে তৃণমূল কংগ্রেস আয়োজিত রক্তদান শিবিরে গিয়ে রাজ্য যুব তৃণমূল কংগ্রেসের সভানেত্রী সায়নী বার্তা দিলেন 2024 সালের লড়াইয়ের। বিজেপির নাম না নিলেও রীতিমত কটাক্ষ করে সায়নী বলেছেন, বিবেকতাড়িত, বিকৃতমনস্ক দলের চোখে চোখ রেখে খেলা হবে। তাঁরা নিজেদের অনেক বড় ভাবছেন। কিন্তু 2024 সালে অনেক বড় লড়াই আছে। 2024 সালে লড়াইয়ের প্রস্তুতির জন্য দলীয় কর্মীদের আহ্বান জানানোর পাশাপাশি সায়নীর বক্তব্যে বারবার উঠে আসে দেবাংশু (Debangsu) প্রচারিত ‘খেলা হবে’ কথাটি।
2024-এর ভোটে সাফল্য পাওয়ার জন্য দলীয় কর্মীদের সাধারণ মানুষের পাশে থেকে যৌথভাবে লড়াই করার কথা বলেছেন সায়নী। এমনকি শুভেন্দু অধিকারী (Shubhendu Adhikari)-কে কটাক্ষ করে সায়নী বলেছেন, গাছের থেকে ফল কখনও বড় হতে পারে না। প্রসঙ্গত, পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)-র একদা ছায়াসঙ্গী ছিলেন শুভেন্দু। কিন্তু পরে তাঁর মনেও মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার আশা জাগার ফলে তিনি বিন্দুমাত্র অপেক্ষা না করে যোগ দিয়েছিলেন গেরুয়া শিবিরে। নন্দীগ্রাম থেকে তিনি কিভাবে জিতেছেন তা সকলের জানা। তাছাড়া বঙ্গ বিজেপির পাশাপাশি তাঁর মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার আকাঙ্খাও বিশ বাঁও জলে। বিজেপি থেকে একাধিক নেতার বেরিয়ে যাওয়া নিয়ে কটাক্ষ করে সায়নী বলেছেন, নেতা মঞ্চে দাঁড়িয়ে বক্তৃতা দিচ্ছেন। অথচ দল থেকে সকলে বেরিয়ে যাচ্ছেন।
ত্রিপুরা ও অসমে তৃণমূলের প্রভাব বৃদ্ধির ক্ষেত্রে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)-এর প্রশংসা করেন সায়নী। বিজেপির ‘আর কি বার 200 পার’ শ্লোগান নিয়েও এদিন কটাক্ষ করেছেন সায়নী। এছাড়াও দলের বিভিন্ন শাখা ও সংগঠন মিলিয়ে রক্তদান শিবিরের আয়োজন করার জন্য দলীয় কর্মীদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন সায়নী। সায়নী ছাড়াও ওই রক্তদান শিবিরে উপস্থিত ছিলেন কালনা পুরসভার উপ-পুরপিতা তপন পোড়েল (Tapan Porel), বিশিষ্ট সমাজসেবী সুব্রত পাল (Subrata Pal) প্রমুখ।
View this post on Instagram