whatsapp channel

Partha-Monalisa: কলেজ অনুষ্ঠানের সূত্রে পার্থর সাথে আলাপ, কিভাবে দশটি ফ্ল্যাটের মালকিন হলেন মোনালিসা!

শনিবার সারাদিন জুড়ে চর্চায় ছিলেন রাজ্যের শিল্পমন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় (Partha Chatterjee)। কোটি কোটি টাকা প্রতারণার দায়ে অভিযুক্ত পার্থর আপাতনিরীহ স্বভাব দেখে ধারণা করা যায়নি, তাঁর সাথে থাকতে পারে একাধিক মহিলার…

Avatar

শনিবার সারাদিন জুড়ে চর্চায় ছিলেন রাজ্যের শিল্পমন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় (Partha Chatterjee)। কোটি কোটি টাকা প্রতারণার দায়ে অভিযুক্ত পার্থর আপাতনিরীহ স্বভাব দেখে ধারণা করা যায়নি, তাঁর সাথে থাকতে পারে একাধিক মহিলার সম্পর্ক। সম্ভবতঃ পরকীয়ার জালে জড়িয়ে তাঁদের কাছে বেআইনি অর্থ ও সম্পত্তি গচ্ছিত রাখতেন পার্থ। শুক্রবার রাতে এমনই এক অভিনেত্রী অর্পিতা মুখোপাধ্যায় (Arpita Mukherjee)-র ডায়মন্ড সিটির ফ্ল্যাটে হানা দিয়ে কুড়ি কোটির টাকার বেশি অর্থ, বৈদেশিক মুদ্রা ও বিপুল পরিমাণ সোনা উদ্ধার করেছেন ইডির তদন্ত আধিকারিকরা। এবার বেলা গড়াতেই উঠে এল আরও একটি নাম, মোনালিসা দাস (Monalisa Das)।

পেশায় কাজী নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের বিভাগীয় প্রধান মোনালিসাও পার্থর অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ হিসাবে পরিচিত। তাঁর নামে দশটি ফ্ল্যাটের সন্ধান পেয়েছে ইডি। 2014 সালে কাজী নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপিকার কাজে যোগ দিয়েছিলেন মোনালিসা। কলেজের বিভিন্ন অনুষ্ঠানের মাধ্যমে পার্থর সাথে আলাপ হয়েছিল মোনালিসার। মোনালিসার দাদা মানস দাস (Manas Das) জানিয়েছেন, মোনালিসার নামে দশটি ফ্ল্যাট কেনার অভিযোগ সত্যি নয়। তাঁর একটিই ফ্ল্যাট রয়েছে যেটি তাঁর মায়ের নামে। কাজী নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুষ্ঠানগুলিতে অধ্যাপিকা হিসাবে ওয়েলকাম করার দায়িত্ব থাকত মোনালিসার। সেই সূত্রেই আলাপ হয়েছিল পার্থর সাথে। মানসবাবু জানিয়েছেন, মোনালিসা বিবাহ বিচ্ছিন্না।

তবে স্থানীয় সূত্রে প্রাপ্ত খবর অনুযায়ী, নদীয়ার পায়রাডাঙার বাসিন্দা মোনালিসা কর্মসূত্রে আসানসোলের এসবি গড়াই রোডের বিবেকানন্দ পল্লীতে গত পাঁচ বছর ধরে একটি বাড়ি ভাড়া নিয়ে থাকতেন। কিন্তু বাড়ির মালিক জানিয়েছেন, মোনালিসা দেড় মাসে একবার আসতেন। তিনি কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ে রেগুলার ক্লাস নিতেন বলে এলাকার কেউই জানেন না। কিন্তু তাঁর বাড়িতে পার্থ চট্টোপাধ্যায় বা অন্য কোনো রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বকে আসতে দেখা যায়নি। গত দুই সপ্তাহ ধরে মোনালিসাও ওই বাড়িতে আসছেন না বলে জানা গিয়েছে। নদীয়ার পায়রাডাঙার বাড়িতে মানসবাবু একাই থাকেন।

অর্পিতার মা জানিয়েছেন, তিনি মেয়ের কর্মকান্ডের বিষয়ে কিছুই জানতেন না। তাহলে কি মানসবাবুও বোনের কাজ নিয়ে অবগত ছিলেন না ?

whatsapp logo