বর্ষায়ও মাছ খাবেন না, এই রোগগুলো আপনাকে ঘিরে ফেলতে পারে
বর্ষাকালে মাছ খাওয়ার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া- সুন্দর চোখ বা চুল, ত্বক ভালো রাখতে মাছ খাওয়ার পরামর্শ দেন ডাক্তারেরা। মাছ খাওয়ার উপকারিতা সবাই জানেন। মাছ হল বিশ্বের সবচেয়ে পুষ্টিকর খাবার হিসেবে গণ্য করা হয়। কারণ মাছে অনেক পুষ্টি উপাদান রয়েছে যা স্বাস্থ্য, নানাভাবে উপকার করে। তা সত্ত্বেও, আপনি কি জানেন যে বর্ষার সময় মাছ খাওয়া উপকারী নয়, তবে আপনার স্বাস্থ্যের ক্ষতি করতে পারে। আসলে বর্ষাকালে নদী, পুকুর সবেতেই জল ভর্তি থাকে। মিশে যায় নোংরা জল। এই মাছ খেলে হতে পারে মহা বিপদ। Hoophaap এর পাতায় দেখে নিন অসাধারণ টিপস –
১) খাবারে এলার্জি- গলায় ইনফেকশন এবং গলা ব্যথার মতো সমস্যা প্রায়ই খাবারের অ্যালার্জির কারণে হয়ে থাকে। এর প্রধান কারণ মাছের শরীরে উপস্থিত ডিম এবং কোলেস্টেরলের উপস্থিতি বেশি থাকায় আমাদের শরীরে প্রদাহ জনিত সমস্যা বেড়ে যায়। পাচনতন্ত্র দুর্বল হয়ে সেতে পারে, যার ফলে বর্ষাকালে মানুষের হজম শক্তি দুর্বল হয়ে পড়ে। এ কারণেই মাছ খাওয়া উচিত না।
২) পাচনতন্ত্র দুর্বল হতে পারে – বর্ষাকালে মানুষের পরিপাকতন্ত্র দুর্বল হয়। এ কারণেই এই সময় আমিষ এর মতো ভারী জিনিস খাওয়া বন্ধ করুন। এই ধরনের খাদ্য পরিপাকতন্ত্রের জন্য হজম করা কঠিন হয়ে পড়ে, যা কখনও কখনও পেট খারাপ হতে পারে।
৩) মাছের ডিম বিপজ্জনক হতে পারে- বর্ষাকাল মাছের প্রজননকাল, এ সময় মাছের ডিম পাড়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে। ডিমের সঙ্গে মাছ খেলে পাকস্থলীর সংক্রমণের আশঙ্কা বাড়তে পারে। যার ফলে শরীর অসুস্থ হতে পারে।
৪) বাসি মাছ খারাপ হতে পারে- বর্ষাকালে নদী, পুকুর ও উচ্চতা বেড়ে যায়, চারিদিকে নোংরা জলের সাথে মিশে যায়। যার কারণে উপকূলীয় কিছু এলাকায় মাছ ধরা নিষিদ্ধ করা হয়। এমন পরিস্থিতিতে বর্ষাকালে বাজারে মাছের চাহিদা মেটাতে হিমঘরে স্টোর করা হয়। এসব মাছ বেশিক্ষণ রাখলে নষ্ট হয়ে যেতে পারে আর পুষ্টিগুণও তাজা মাছের তুলনায় খুবই কম। তাই এই সময় মাছ না খাওয়াই ভালো।
৫) নোংরা জলে খারাপ ব্যাকটেরিয়া – মাছ বিভিন্ন ধরণের পোকামাকড় এবং অনুরূপ ব্যাকটেরিয়া শিকার করে এবং গ্রাস করে। এই ব্যাকটেরিয়াগুলো এতটাই বিপজ্জনক যে এগুলো মাছের শরীরকেও খারাপ করে। এই পদার্থগুলি দীর্ঘক্ষণ তাদের শরীরে থাকে এবং যখন এই মাছ খাওয়া হয়, মাছের সাথে খারাপ জিনিস আমাদের শরীরে চলে যায়। তাই এই সময় মাছ খাওয়া এই কারনে বন্ধ করুন।