Arpita Mukherjee: ঝাঁ চকচকে ফ্ল্যাট ছেড়ে অন্ধকার জেলে কিভাবে রাত কাটালেন অর্পিতা
ব্যাঙ্কশাল কোর্ট শুক্রবার ফের অর্পিতা ও পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে ইডি হেফাজতে থাকার নির্দেশ দিয়েছে। তবে দুজনের গন্তব্য একই জায়গায় নয়। আলাদা থাকছেন পার্থ ও অর্পিতা। আগামী ১৮ অগস্ট পর্যন্ত জেল হেফাজতের নির্দেশ হয়, ফলে জেলের ভাত রুটি দিয়েই পেট ভরাতে হচ্ছে এই দুই উল্লেখ্যযোগ্য ব্যাক্তিকে।
পার্থ আছেন প্রেসিডেন্সি সংশোধনাগারে, এবং অর্পিতা আছেন আলিপুরের কেন্দ্রীয় সংশোধনাগারে। যেই অর্পিতা দিনে দুপুরে ব্ল্যাক কফি ও ড্রাই ফ্রুটস দিয়ে পেট ভরাতেন, সেই অর্পিতা এখন কি কি খাচ্ছেন? যদিও ইডি হেফাজতে প্রথম দশ দিন থাকার সময় ফলের রস, ভাত, রুটি, লিকার চা, ক্রিম ক্রেকার বিস্কুট পেয়েছেন, কিন্তু এখন? এই মুহূর্তে কিভাবে চলছে অর্পিতার গোটা দিন ও রাত? কৌতূহল রয়েছে দর্শক ও পাঠক মহলে। কারণ,অর্পিতা হলেন এই মুহুর্তের হট টপিক।
শুক্রবার আদালতে শুনানি চলাকালীনই অর্পিতার প্রাণ সংশয়ের আশঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন অর্পিতার উকিল৷ এরপরেই অর্পিতার উপর নজরদারি বাড়ানো হয় এবং কড়া নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়। কিন্তু,অর্পিতা ব্যাঙ্কশাল কোর্ট থেকে আসার পর থম মেরে গিয়েছেন। মহিলা সংশোধনাগারে থাকাকালীন রাতে কিছু না খেয়েই ঘুমিয়ে যান। কারোর সঙ্গে কোনো কথা পর্যন্ত বলেননি। মনোবিদদের মতে, এরা এতো দ্রুত মানসিক ভাবে পরিবর্তন হয় না, বরং মনে মনে বদলা নেওয়ার ফন্দি আঁটে।
সারা রাত না খেয়ে ঘুমোলেও সকালে খেয়েছেন। সূত্র বলছে, সকালে খেয়েছেন চা বিস্কুট। রাতে খেয়েছেন রুটি ডাল সবজি। আপাতত, ১৮ তারিখ পর্যন্ত জেলে ভাত রুটি খাবেন অর্পিতা। পাবেন না ড্রাই ফ্রুটস, ব্ল্যাক কফি, ফলের রস।