Arpita Mukherjee: বীভৎসভাবে ফেঁসে গেলাম: অর্পিতা
জেলবন্দি পার্থ নবাব নন্দিনী অর্পিতা মুখোপাধ্যায়। তারই ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার ৫০ কোটি টাকা, সরকারি খামে বন্দী অধিকাংশ টাকা, সোনা, সোনার বার, ৩১ টি জীবন বীমা, ৯ টি বাড়ি জায়গা সম্পত্তি, একাধিক ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট। একজন সাধারণ অভিনেত্রী। টলিউডের দর্শক অর্পিতাকে কেউই চেনেন না। সেই মেয়ের কাছে এত সম্পত্তি যে হয়তো নিতা আম্বানি লজ্জা পেতে পারেন।
পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে একাধিক ছবিতে তাকে দেখা গিয়েছে,জীবন বীমার প্রত্যেকটিতে পার্থ চট্টোপাধ্যায় নমিনি, এমনকি ৫০ কোটি টাকা অর্পিতার ফ্ল্যাট থেকেই উদ্ধার, যেখানে পার্থ বাবু যাতায়াত করতেন।এছাড়াও অর্পিতার ড্রাইভার প্রণব ভট্টাচার্য জানান যে তিনি বেশ অনেকবার অর্পিতাকে রাতে পার্থ চট্টোপাধ্যায় এর বাড়িতে ছেড়ে এসেছেন। ফেরার সময় চালক একাই ফিরতেন বলে দাবি।
এহেন, ঘটনায় পার্থ চট্টোপাধ্যায় সটান জানান যে তিনি অর্পিতা মুখোপাধ্যায়কে একেবারেই চেনেন না। কয়েকবার পুজোর মন্ডপ পরিদর্শন করতে এসেছেন। অথচ, অর্পিতার দাবি – ওই টাকা আমার নয়, পার্থ বাবুর লোকজন এসে টাকা রেখে যেত, আমার ধরা বারণ ছিল। এছাড়াও, অর্পিতাকে সাংবাদিকরা প্রশ্ন করলে তিনি বলেন যে তার যা বলার সব তিনি ইডি কে বলে দিয়েছেন, আইনের প্রতি আস্থা আছে।
ঘটনা হল যদি সত্যি অর্পিতা সব বলে থাকেন ইডি কে সত্যিটা তাহলে এখনও তিনি জেল বন্দী কেন? বিচার কার্য এখনও লম্বা প্রক্রিয়া নিয়ে এগোচ্ছে কেনো? সমস্ত প্রশ্নের উত্তর সঠিক ভাবে না পেলে এখনও পর্যন্ত বিচারাধীন অবস্থায় থাকবেন পার্থ ও অর্পিতা দুজনেই। এদিকে, সূত্র বলছে, জেলে অর্পিতা স্বাভাবিক আছেন।প্রথম রাত্রে কিছুই খাননি। পরের দিন থেকে খাওয়া দাওয়া করছেন। স্বাস্থ্য পরীক্ষা মাঝে মধ্যেই হচ্ছে। আপাতত সুস্থ আছেন তিনি, কিন্তু মানসিক ভাবে ভেঙে গিয়েছেন। অর্পিতার এখন একটাই কথা “বীভৎসভাবে ফেঁসে গেলাম। আমাকে শেষ করে ফাঁসিয়ে দিল।’’