ঢাকাই জামদানি শাড়ির এক ডজন ইউনিক ডিজাইন
জামদানি হল কার্পাস তুলা দিয়ে প্রস্তুত এক ধরনের শাড়ি। ঢাকাতেই জামদানির আদি জন্মস্থান হিসাবে গণ্য করা হয়। জামদানি বয়নের অতুলনীয় পদ্ধতি ইউনেস্কো কর্তৃক একটি অনন্য সাধারণ সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য হিসাবে স্বীকৃত হয়েছে।
প্রাচীনকালের মিহি মসলিন কাপড়ের উত্তরাধিকারী হিসেবে জামদানি শাড়ি বাঙালি নারীদের অতি পরিচিত ছিল। মুঘলদের আমলে জামদানি দিয়ে নকশাওয়ালা শেরওয়ানি পাওয়া যেত। ‘জামদানি’ কথাটি এসেছে ফারসি ভাষা থেকে।
ফারসি ‘জামা’ র অর্থ কাপড় এবং ‘দানা’ অর্থ ‘বুটি’ অর্থাৎ বুটিদার কাপড়কে জামদানি বলে। তবে আরেকটি মত থেকে জানা যায়, ফার্সিতে ‘জাম’ অর্থ এক ধরনের উৎকৃষ্ট ‘মদ’ আর ‘দানি’ অর্থে পেয়ালা। ‘জাম’ পরিবেশনকারী ইরানিরা পরণে যে ধরনের পোশাক পরতেন তাদের ‘জামদানি’ বলা হত।
এবার পুজোতে অষ্টমীর সকাল-বিকাল সেজে উঠতে পারেন জামদানি ঢাকাই শাড়িতে। বিবাহিত নারীরা সকালবেলা লাল পাড় সাদা জামদানি শাড়ি পরে অঞ্জলি দিতেই পারেন। সাথে থাকবে ট্র্যাডিশনাল সাজ। আর অবিবাহিত নারীরা রাত্রিবেলা প্রিয় মানুষের হাত ধরে জামদানি ঢাকাই শাড়ি পরে বেরোলেও মন্দ হবে না। তবে সে ক্ষেত্রে সাজটা একটু অন্যরকম হতেই হবে। কানে ভারী গয়না অথবা কানে হালকা গলা দিয়ে গলায় ভারী গয়না। স্লিভলেস ব্লাউজ অথবা বোটনেক ব্লাউজ এ সেজে উঠলে মন্দ লাগবে না।