একেই বলে ভাগ্য। মেয়েরা যে বাবার ঘরের লক্ষ্মী হয় সেটা অনুব্রত কন্যা সুকন্যা মন্ডলকে দেখলেই বোঝা যায়। রাজ্যের মেয়েরা রীতিমত হিংসা করতে শুরু করেছে সুকন্যাকে দেখে।বাবা গরু চোরের জন্য অভিযুক্ত হলেও মেয়ের ভবিষ্যত পাকা। একহাতে সরকারি চাকুরি, অন্যহাতে একরের পর একর জমি।
চলতি মাসের ১১ তারিখে তাঁকে গ্রেফতার করা হয় অনুব্রত মণ্ডলকে (Anubrata Mandal)। সি বি আই দশ বার নোটিশ পাঠায়, অগ্রাহ্য করেন অনুব্রত। শেষে ঘাড় ধরে তুলে আনেন বীরভূমের বাহুবলীকে। বর্তমানে, অনুব্রত আরও ১৪ দিন জেল হেফাজতে রাখার নির্দেশ পেয়েছেন বিচারক রাজেশ চক্রবর্তীর থেকে।
অনুব্রত জেল হেফাজতে থেকে যেমন চর্চায় আছেন, তেমনই তার সুকন্যা আবারও চর্চায় এসেছেন। কিছুদিন আগে টেট ফেল, সরকারি চাকরি নিয়ে আলোচনা শুরু হয়। সুকন্যার আগে পিছে টেট ফেলার ট্যাগ লেগে যায়, সেখানে আবারও সুকন্যা চর্চার কেন্দ্র বিন্দুতে।
সিবিআই তদন্ত ও তল্লাশি করে অনুব্রতর নামে একাধিক রাইসমিলের সন্ধান পায়। এছাড়াও সারি সারি দামী গাড়ি উদ্ধার করে সিবিআই। ইতিমধ্যে, সুকন্যার ( Sukanya Mandal) নামে একটি অ্যাগ্রো কেমিক্যাল সংস্থারও হদিশ মিলেছে, এছাড়াও এই সুকন্যার নামে রয়েছে ০.৬২ একর জমি, বোলপুরের বল্লভপুর এলাকায়, সূত্রের খবর! এতেই রাজ্যের মেয়েরা খোচে বম্ব। হাতে মাত্র ৫০০ টাকা ঠেকিয়ে তলে তলে এতো কিছু! অনেকের মতে, সিবিআই ( CBI) সঠিক তদন্ত কি আদৌ করতে পারবে? আদৌ কি সঠিক বিচার হবে ভারতীয় আইন অনুযায়ী?