বাংলা সিনে ইন্ডাস্ট্রির সবচেয়ে বিতর্কিত চরিত্র প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায় (Prosenjit Chatterjee)। তা অবশ্যই তাঁর ব্যক্তিগত জীবনের জন্য। পরপর তিনবার বিয়ে করেছেন প্রসেনজিৎ। প্রথম স্ত্রী ছিলেন দেবশ্রী রায় (Debashree Roy)। নব্বইয়ের দশকে তখন দুজনেই তারকা। প্রথমদিকে বিবাহিত জীবন ঠিকঠাক কাটলেও পরবর্তীকালে দেখা দিল সমস্যা। কিন্তু সেই সমস্যা প্রকৃতপক্ষে কতটা গভীর ছিল বা কি সংক্রান্ত ছিল, তা জানা যায়নি এখনও। কিন্তু প্রসেনজিৎ-এর সাথে দেবশ্রীর বিবাহ বিচ্ছেদের কারণ হিসাবে বিভিন্ন কাহিনী টলিউডের আনাচে-কানাচে ঘোরে। এরপর দেবশ্রী বিয়ে করেননি। তবে দ্বিতীয় বিয়ে করে জীবনে এগিয়ে গিয়েছিলেন প্রসেনজিৎ।
প্রসেনজিৎ-এর দ্বিতীয় স্ত্রী ছিলেন অপর্ণা গুহঠাকুরতা (Aparna Guhathakurta)। তাঁকে কিন্তু সেভাবে কোনোদিন স্পটলাইটে দেখা যায়নি। অপর্ণা অভিনেত্রী ছিলেন না। তিনি ছিলেন কলকাতার প্রভাবশালী ব্যবসায়ী পরিবারের মেয়ে। বিয়ের কয়েক বছর পর প্রসেনজিৎ ও অপর্ণার কন্যাসন্তান প্রেরণা (Prerona)-র জন্ম হয়। কিন্তু এরপরেই শুরু হয় সমস্যা। প্রথমে শোনা গিয়েছিল, অপর্ণার চাহিদা প্রচুর। ফিল্মে একসাথে অভিনয় করতে গিয়ে অর্পিতা পাল (Arpita Pal)-এর সাথে তৈরি হল প্রসেনজিৎ-এর সম্পর্ক যার ঢেউ এসে পৌঁছাল অপর্ণার সংসারে। অর্পিতা তখন ইন্ডাস্ট্রিতে সবেমাত্র কেরিয়ার শুরু করেছেন।
প্রসেনজিৎ-এর তুলনায় বয়সে অনেকটাই ছোট ছিলেন তিনি। প্রসেনজিৎ-কে ভালোবাসার কারণ ছিল অর্পিতার কাছে। তিনি বলেছিলেন প্রসেনজিৎ তাঁর মতোই মাটিতে বসে খাওয়া পাবলিক। সেই সময় একটি নামী সংবাদপত্রে বেরিয়েছিল অর্পিতার সাক্ষাৎকার। বিবাহ বিচ্ছেদ হয়ে গেল অপর্ণা ও প্রসেনজিৎ-এর। একমাত্র মেয়ে প্রেরণাকে নিয়ে আলাদা ফ্ল্যাটে চলে গেলেন অপর্ণা। প্রসেনজিৎ-এর সাথে অর্পিতা সাতপাকে বাঁধা পড়লেন।
বর্তমানে প্রসেনজিৎ ও অর্পিতার এক পুত্র রয়েছে যাঁর নাম তৃষাণজিৎ (Trishanjeet Chatterjee)। অর্পিতার সাথে প্রসেনজিৎ-এর বিবাহ বিচ্ছেদ না হলেও তিনি নিজের নাভের সাথে স্বামীর পদবী ব্যবহার করতে পছন্দ করেন না। একসাথে প্রসেনজিৎ ও অর্পিতাকে কোথাও দেখা যায় না। তবে তৃষাণজিৎ-এর সাথে সময় কাটাতে পছন্দ করেন প্রসেনজিৎ।