বলিউড ঘরানায় চোখ রাখলে দেখা যাবে যে করিনা থেকে অনুষ্কা প্রত্যেকেই অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় যোগ ব্যয়াম বা হালকা এক্সারসাইজ করেছেন। আগেকার দিনে মেয়েরা পেটে সন্তান নিয়েও বহু পথ হেঁটে হয় জল আনতে যেত বা উঠোন ঝাড়ু দিত। কারণ, একটাই – সেটি হল অন্তঃসত্বা কোনো রোগ বা ব্যাধি নয়। একটি শরীরের আশ্রয়ে আরেকটি শরীর বেড়ে ওঠা, তাই দুটো শরীরের ইঞ্জিনিয়ারিং প্রসেস যাতে ঠিকঠাক কাজ করে তাই শরীরের কিছু ক্রিয়া প্রক্রিয়া দরকার হয়। কারণ, অলস শরীর ডায়াবেটিস, প্রেসার এসব বাড়িয়ে দিতে পারে। বিশেষত যারা বেশি বয়সে বাচ্চা নেন বা যারা অনেক চিকিৎসা শাস্ত্রের পর সন্তান ধারণ করছেন তাদের জন্য সঠিক ডায়েটে, ওষুধ ও যোগাসন খুবই উপযোগী।
এবারে নিজের কিছু এক্সারসাইজের ছবি পোস্ট করলেন সাম্প্রতিক চর্চিত অভিনেত্রী দেবিনা বন্দ্যোপাধ্যায়। উল্লেখ্য, দেবিনা বর্তমানে অন্তঃসত্ত্বা । দ্বিতীয়বারের জন্য মা হতে চলেছেন তিনি। বিয়ের পর প্রায় ১০ বছর পর তার ও গুরমিত চৌধুরীর ঘরে লক্ষ্মী আসে। এবং সেই মেয়ের বয়স যখন মাত্র ৪ মাস তখন তিনি আবারও ঘোষণা করেন তার দ্বিতীয় প্রেগন্যান্সি নিয়ে। এই খবরে নেট মাধ্যমে বেশ তোলপাড় হয়। অনেকেই দেবিনার দ্বিতীয় প্রেগন্যান্সিকে নিয়ে মজা করেছেন, কেউ কেউ এটাই বলতে চেয়েছেন যে মাত্র ৪ মাসের শিশুকে রেখে আবার প্রেগন্যান্সি! বড্ড জলদি হয়ে গেল। কিন্তু, অভিনেত্রী বেশ সাহস করেই কটাক্ষের উত্তর দেন। তার প্রশ্ন যারা যমজ সন্তান জন্ম দেন তারা কিভাবে পালন করছেন? তাহলে কি তিনি অ্যাবর্ট করে দেবেন? অথয়েব দ্বিতীয় প্রেগন্যান্সি তার কাছে,’কিছু সিদ্ধান্ত ঈশ্বর প্রদত্ত, কেউ সেই সিদ্ধান্তের সময় বদলাতে পারে না। এটা সেরকমই এক আশীর্বাদ। আমাদের পরিপূর্ণ করতে সে আসছে।’
এই মুহূর্তে অনেক সেলিব্রিটি খুশির জোয়ারে ভাসছেন। ইতিমধ্যে সোনম কাপুর পুত্র সন্তানের জন্ম দিয়ে দিয়েছেন। এবার পালা আলিয়া, বিপাশা ও দেবিনার ।
View this post on Instagram
ইনস্টাগ্রামে অভিনেত্রীর সাম্প্রতিক ছবিতে দেখা যাচ্ছে যে তিনি প্রশিক্ষকের মতামতকে গ্রাহ্য করে কিছু এক্সারসাইজ করছেন।স্কোয়াট থেকে শুরু করে ডাম্বল হাতে নিয়ে নানান ব্যায়ামে মন দিয়েছেন তিনি। এদিন ভিডিও পোস্ট করে দেবিনা লিখেছেন, ‘আমার প্রশিক্ষক এর সাহায্যে আমি কীভাবে সহজ কিছু ওয়ার্কআউট করতে পারি তারই কিছু ঝলক রইল। আজকাল আমি একটি সুস্থ শরীর, শান্ত মন, এবং নিজেকে কিছু ভালোবাসার মানুষের মধ্যে ঘিরে রেখেছি!! আমার ফিটনেস বজায় রাখার অর্থ শরীরের ভিতরে ধীরে ধীরে বেড়ে ওঠা শিশুটি সুস্থ আছে।’