Arpita Mukherjee: পুজোয় এবার আর মিষ্টি কেন হবে না অর্পিতার, জেলেই কাটবে উৎসবের দিনগুলো!
চলতি বছরে নাকতলা উদয়ন সংঘের পুজো নিয়ে ব্যাপক কৌতূহল মানুষের মনে। প্রতিবছর এই মণ্ডপে ভিড় হয়, এবার হয়তো ভিড় দ্বিগুণ হবে। যদিও এইবারের পুজোর তত্ত্বাবধানে থাকবেন না পার্থ চট্টোপাধ্যায় এবং অর্পিতা মুখোপাধ্যায়। তেমনই, ফাঁকা থাকবে বেলঘরিয়ার দেওয়ানপাড়ার পুজো মন্ডপ। কারণ, এখানেই অর্পিতার আসল বাড়ি। বেলঘরিয়ার দেওয়ানপাড়ায় আবদুল লতিফ স্ট্রিটের বাড়িতে থাকেন পার্থ ঘনিষ্ঠ অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের মা, বোন (বোনের বিয়ে হয়ে গিয়েছে)।
প্রতিবছর বেলঘরিয়ার দেওয়ানপাড়ার পুজোয় যোগদান করতেন অর্পিতা। মণ্ডপে উপস্থিত থেকে কাজ করতেন তিনি। যদিও ওই পাড়ার পুজো হয় বাসিন্দাদের আর্থিক সাহায্যে, এতে কোনও নেতা-মন্ত্রীর অর্থ আসে না, তবে অর্পিতা পুজোর নানান সরঞ্জাম কিনতে সাহায্য করতেন। এমনকি বিজয়া সম্মিলনীর সমস্ত মিষ্টির দ্বায়িত্ব অর্পিতা একাই নিতেন। অর্থাৎ মাছের তেলেই মাছ ভাজা হত, অথচ পুজো পাড়ার বাসিন্দাদের আর্থিক সাহায্যেই হত।
ইডি হেফাজতে যাওয়ার দিন ছয়েক আগেই পাড়ার ক্লাবের সঙ্গে অর্পিতা কথা বলেন। পুজো নিয়ে আলোচনা হয়। এমনকি এই বছর টলিউডের কোনো অভিনেত্রীকে আনবেন বলেও ভেবে রেখেছিলেন। সবই ঠিকঠাক ছিল, কিন্তু ইডি এসে ৫০ কোটি টাকা উদ্ধার করে সব ভেস্তে দেয়। এতে মন খারাপ পুজো কমিটির কিছু মানুষের।
এই পুজো পুজো নিয়ে একটি মজাদার ব্যাপার উদঘাটিত হয়েছে। অর্পিতার মায়ের বাড়ির পুজো উদ্যোক্তাদের একাংশের দাবি যে মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় নাকি নিজেই নিজের পরিচয় দিয়েছিলেন। তিনি জানান যে অর্পিতা তার ভাগ্নী। অর্থাৎ, অর্পিতার মামা হিসেবে পরিচয় দিয়েছিলেন পার্থ। এবং ওই পার্থ এও বলেন যে অর্পিতার বাবা নিরাপদ মুখোপাধ্যায় ভালো বেহালা বাজাতেন। সেই সূত্রের অর্পিতার বাবার সঙ্গে তাঁর আলাপ। শেষে কিনা মামা-ভাগ্নী মিলে এত বড় সব্বনাশ করে ছাড়লো!!!