Nita Ambani Vs Priti Adani: নীতা আম্বানি বনাম প্রীতি আদানি
ভারতের দুই উল্লেখযোগ্য শিল্পপতি হলেন মুকেশ আম্বানি ও গৌতম আদানি। এই দুজনের অর্থনৈতিক কাঠামো এতটাই দৃঢ় যে এরা ভারতের উল্লেখ্যযোগ্য স্তম্ভ। একজন রিলায়েন্স এর হত্যা কর্তা বিধাতা, অন্যজনের হাতে রয়েছে সাত সাতটি কোম্পানি, বিশেষত, ২০২০ সালে আদানি কম্পানি ভারতের বৃহত্তম বিমানবন্দর পরিচালক হয়ে ওঠে।
মুকেশ আম্বানি হলেন এমন এক ধনকুবের, যিনি রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের চেয়ারম্যান, ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবং বৃহৎ শেয়ারের মালিক। রিলায়েন্স ফরচুন গ্লোবাল ৫০০ কোম্পানির একটি এবং বাজার মূল্যের দিক থেকে ভারতের সবচেয়ে মূল্যবান কোম্পানি। পাশাপাশি, কয়লা উৎপাদন এবং কয়লার ব্যবসা, বিদ্যুৎ উৎপাদন ও সঞ্চালন,আমদানি রপ্তানি পণ্য পরিবহন,বন্দর ব্যবস্থাপনা,বিমানবন্দর পরিচালনা ও ব্যবস্থাপনা, আমদানি রপ্তানি পণ্য পরিবহন, আবাসন, ভোজ্যতেল, খাদ্যপণ্যসহ নানা খাতে ব্যবসা রয়েছে আদানি কম্পানির। চলুন এবার দেখে নেওয়া যাক এই দুই ধনকুবেরের স্ত্রীদের দিকে।
মুকেশ পত্নী নীতা বরাবর একজন চর্চিত নারী। বর্তমানে, তিনি রিলায়েন্স ফাউন্ডেশন, ধিরুভাই আম্বানি ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের চেয়ারপারসন এবং প্রতিষ্ঠাতা এবং রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজের একজন পরিচালক। ১৯৮৫ সালে মুকেশ আম্বানিকে বিয়ে করেন। অতীতে একটা সময় ‘St. Flower Nursery’ নামক একটি স্কুলে মাসিক ৮০০ টাকা বেতনে পড়াতেন তিনি। এখনও বাচ্চাদের সঙ্গে থাকতে পছন্দ করেন। উল্লেখ্য, ছেলের ওজন কমানোর জন্য তিনি নিজেও ছেলের ডায়েট মেনে চলতেন। একই সঙ্গে ঘর, বিজনেস ও খেলার ময়দান সামলাচ্ছে। তার ফ্যাশন, স্টাইল, ড্রেস, গয়না নিয়ে আজও পেজ থ্রির পাতায় দু চার কলম লেখা হয়। আসলে মানুষ এই বিজনেস টাইফুনের স্ত্রীর উপর ফিদা।
এবার আসি গৌতম আদানি স্ত্রীর দিকে। বাংলা মিডিয়ায় নীতা আম্বানি যতটা চর্চিত, প্রীতি আদানি খুবই কম চর্চিত। নীতা যতটা বৈভবশালী, স্টাইলিশ,প্রীতি ততটা নন। দুজনের বয়স মাথায় মাথায় হলেও প্রীতি বিশেষ একটা ফ্যাশন সচেতন নন এবং ক্যামেরার সামনে তাকে কম দেখা যায়। বাস্তবে প্রীতি একজন ডেন্টিস্ট, কিন্তু পড়াশুনো শেষের আগেই বিয়ে হয়ে যায়। পরবর্তীতে স্বামী তার পড়াশুনোর হাল ধরেন। এখন যদিও প্রীতি, আদানি ফাউন্ডেশনে কাজ করাকে নিজের পেশা হিসেবে বেছে নিয়েছেন যাতে করে তিনি হাজার হাজার মানুষকে সাহায্য করতে পারেন।