মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা, এবং তাকে দেখে পা ছুঁয়ে প্রণাম, সৌজন্য বিনিময় করতে গিয়ে হাতে দুটো চকলেট পাওয়া। ব্যাস, এটাই ছিল গত শনিবারের রেড রোড পুজো কার্নিভালের একটা ছোট্ট ছবি। এই ছবি ঘিরেই সমালোচনার শিকার হয়েছেন স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায় (Swastika Mukherjee)।
কেন সমালোচিত হলেন স্বস্তিকা? (Swastika Mukherjee criticized) গত শনিবার মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে সৌজন্য বিনিময় করার একগুচ্ছ ছবি পোস্ট করে স্বস্তিকা সোশ্যাল মিডিয়ায় লিখেছিলেন- ‘বহু বছর পর মাননীয় মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা হল গতকাল কার্নিভালে। খুবই চিত্তাকর্ষক একটা ইভেন্টের আয়োজন করেছিলেন তিনি। প্রশংসনীয় কাজ করেছে কলকাতা পুলিশও। আমি সবসময়ই প্রশংসা করে এসেছি দিদির লড়াকু ক্ষমতা আর মনোবলের। ওনাকে শুভ বিজয়ার শুভেচ্ছা জানিয়ে চকোলেট উপহার পেলাম (হার্ট ইন আই ইমোজি)। ধন্যবাদ রাজ ছবিগুলি তুলে দেওয়ার জন্য, এগুলো ভীষণ মিষ্টি। দক্ষিণপাড়ার পুজো উৎসব কমিটির সঙ্গে ওখানে থাকাটা খুব মজাদার হল। আসছে বছর আবার হবে।’ দেখুন ছবিগুলো।
স্বস্তিকার সমালোচনার টুকরো অংশ
উপরের নির্দিষ্ট ছবিগুলো ঘিরেই সমালোচনার শিকার হয়েছেন অভিনেত্রী স্বস্তিকা।কেউ তাকে বলেছেন ‘চটিচাটা’, কেউ বলেছেন ‘মেরুদন্ডহীন’ তো কেউ কেউ এও বলেছেন ‘অমেরুদণ্ডী হলে যা হয়! ভালোই, ওসব প্রতিবাদ টতিবাদ সব গা বাঁচিয়ে হোক’, কিছু মানুষ লিখেছেন, ‘উল্টোদিকে যারা নিজেদের প্রাপ্য চাকরির জন্য অবস্থান করছে, তাদের লড়াই আপনাদের মত ঠান্ডা ঘরে বসে থাকা মানুষদের অনুপ্রাণিত করবে না জানা কথা।’
স্বস্তিকা কি চুপ ছিলেন নাকি জবাব দিলেন?
অভিনেত্রী স্বস্তিকা বরাবর প্রতিবাদী, সোশ্যাল মিডিয়ায় সেসবের উদাহরণ যথেষ্ট আছে। তাই এই বারেও তিনি জবাব দিয়েছেন। অভিনেত্রীর কথায়, “আমি একটা ক্লাবের সাথে কার্নিভালে গেছিলাম, এই প্রথমবার। ৯৫ টার ও বেশি ক্লাব যেখানে যোগদান করেছে, সেই সমস্ত প্যান্ডেলে হাজার হাজার মানুষ ঠাকুর দেখতে গেছেন, সেই সমস্ত ক্লাব আমাদের রাজ্যের। কালকেও উপচে পরা ভীড় ছিল। রাজ্যের কি খারাপ অবস্থা সেটা ভেবে কেউ বাড়িতে বসে পুজো বয়কট করেনি। মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা হওয়ায় তাঁকে নমস্কার করে বিজয়া জানানোটা ভদ্রতা, সৌজন্য। আমায় দুটো চকলেট দেওয়াটা ওনার ইচ্ছে, সেটা খেয়ে নেওয়াটা আমার।” এরসঙ্গে তিনি এও যোগ করে বলেন, “চকলেট নিয়েছি ইলেকশন টিকিট নয়, চকলেট খেয়েছি মোটা টাকার ঘুষ নয়। আমরা একটা সভ্য দেশে বাস করি, বর্বর নই। কাল দেশের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা হলেও একই ভাবে নমস্কার করব কারণ সেটাই ঠিক। মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রীর ব্যক্তিত্বকে আমি শ্রদ্ধা করি। তার মানে রাজনৈতিক মতবিরোধিতার সঙ্গে আপোষ করা নয়। যেটা অন্যায় তা নিয়ে নিশ্চই বলব কিন্তু পৃথিবীর সমস্ত বিষয় নিয়ে আমায় জিহাদ ঘোষনা করতেই হবে নাহলেই আমার মেরুদন্ড ধ্বসে পরবে এমন কোনো দাসখত আমি লিখিনি। আর আমার ধ্যান ধারণা বিবেক বিচার আপনাদের কথায় ওঠা নামা করে না।”