Hoop Story

Howrah: মা লক্ষ্মী বারোয়ারী রূপে পূজিত হন হাওড়ার খালনায়, জেনে নিন ইতিহাস

হাওড়ার জয়পুর থানার ছোট গ্রাম খালনা। এই গ্রামে ধুমধাম করে পূজিত হন মা লক্ষ্মী। দুর্গা পুজোর পরে মা বিদায় হয়ে যাওয়ায় মণ্ডপগুলোতে যে বিষাদের সুর বেজে ওঠে খালনা গ্রামের মানুষজন এই বিষাদের সুর টেরই পান না। দূর্গোৎসবের পরে একেবারে বারোয়ারি রূপে পূজিত হন মা লক্ষ্মী। বিজয়া দশমীর পর থেকে গোটা গ্রাম জুড়ে শুরু হয়ে যায় মা লক্ষ্মীর আরাধনার তোড়জোড়। গ্রাম জুড়ে সে কি সাজো সাজো রব। যেহেতু লক্ষ্মীপুজো এত ধুমধাম করে হয় তাই দুর্গোৎসব এখানে খুব একটা হয় না কয়েকটা বারোয়ারি দুর্গাপূজা ছাড়া। তবে প্রায় 250 টিরও বেশি লক্ষ্মীপূজো হয় গোটা গ্রাম জুড়ে, তাইতো এই গ্রামের নাম ‘লক্ষ্মীগ্রাম’।

আশ্বিন মাসের এই কোজাগরী পূর্ণিমা তিথিতে গোটা গ্রাম জুড়ে আনন্দে মেতে ওঠেন ছোট শিশু থেকে একেবারে বৃদ্ধ-বৃদ্ধারা। শুধু যে ঘটা করে পুজো করা হয় তাই নয় আশ্বিন মাসের এই পূণ্য তিথিতে লক্ষ্মীপুজোকে কেন্দ্র করে চারিদিকে মেলার আয়োজন করা হয়, তাহলেই বুঝতে পারছেন, ঠিক কতটা ঘটা করে মা লক্ষ্মীকে পুজো করা হয় এই গ্রামে । লক্ষ্মীপুজো উপলক্ষে প্রায় তিন দিন ধরে এই পুজো চলে গোটা গ্রাম জুড়ে একেবারে শারদ উৎসব এর মতনই।

বাগনান থেকে প্রায় 19 কিলোমিটার দূরে অবস্থিত এই ছোট্ট গ্রাম। এই ছোট্ট গ্রাম লক্ষ্মী পূজার 3 দিন যেন একেবারে মেতে ওঠে উৎসবের আনন্দে। সাধে কি আর বলি বাঙালি হলো উৎসব প্রিয়। বাঙালি আর উৎসবে মেতে উঠবে না এমনটা হয় না। বাঁশবেড়িয়ার কার্তিক ঠাকুর, হুগলির সরস্বতী, নৈহাটির কালীর মতোই হাওড়ায় এই ছোট্ট গ্রামের বিখ্যাত হলেন মা লক্ষ্মীর আরাধনা।

তবে এই অঞ্চলের মানুষদের রোজগার কিন্তু কৃষিভিত্তিক নয়, এরা ব্যবসা-বাণিজ্য করতেন প্রথম থেকেই। বণিকরা লক্ষ্মী পুজো শুরু করেন, তারপর এখানকার মানুষ এইভাবে বারোয়ারি পুজোর রূপ দেন। লক্ষ্মী পুজোর এই তিনটে দিন সারারাত ধরে মানুষ ঠাকুর দেখার জন্য ভিড় করেন দূর-দূরান্ত থেকে। এমন উপচে পড়া জনস্রোতে দেখে আপনি হয়তো ভাববেন কলকাতার কোন প্যান্ডেলের ঠাকুর দেখার ছবি দেখছেন। কি ভাবছেন এ বছরটা মিস করলেন? পরের বছর দুর্গা পুজোর পর পরই ঠিক করে ফেলবেন কোন দিন দেখতে যাবেন হাওড়ার এই গ্রামের পুজো।

Related Articles