চুলে কালি লাগাচ্ছেন বয়স কমাতে? অনেকেই এমনটা করে থাকেন। কিন্তু সবার আগে প্রয়োজন ঘরোয়া কালি বা ঘরোয়া ভাবে চুল কালো করা। কিন্তু তা অনেক সময় সম্ভব হয় না, আমরা অনেক সময় বাজারচলতি কোন ব্র্যান্ডেড কোম্পানি কিংবা খোলাবাজারে যে কালো কালি কিনতে পাওয়া যায়, সেই কালি দিয়ে চুল রং করি, যার ফলস্বরূপ শুধু চুল কালো হয় তা নয়, অনেক সময় মুখের আশেপাশে লেগে একেবারে বিশ্রী পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়, যা কিন্তু সত্যিই বেশ বিরক্তিকর। চুল কালো হলেও মুখের আশপাশটাও কিন্তু অনেক সময় কালো হয়ে যায়। মুখের উপরে কালো দাগ সহজেই দূর করতে পারেন কিন্তু আপনাকে ব্যবহার করতে হবে, কয়েকটা ঘরোয়া উপাদান। জেনে নিন Hoophaap এর পাতায় পাঁচটি কি ঘরোয়া উপাদান ব্যবহার করলে আপনি কালির দাগকে সহজে দূর করতে পারবেন।
১) নারকেল তেল – আমরা সকলেই জানি, নারকেল তেল আমাদের ত্বক ভালো রাখতে সাহায্য করে, আর যে কোনো ধরনের কালো দাগ সহজেই তুলে ফেলে নারকেল তেল। নারকেল তেল এই কালির জায়গায় আস্তে আস্তে ঘষলেই কিন্তু কালো দাগ সহজে চলে যাবে।
২) অ্যালোভেরা জেল – কালো কালির উপরে যদি খুব সামান্য পরিমাণে অ্যালোভেরা জেল নিয়ে আস্তে আস্তে ঘষা যায়, তাহলে দেখবেন দাগ একেবারে চলে গেছে।
৩) সাদা টুথপেস্ট – সাদা টুথপেস্ট আমরা দাঁত সাদা করতে ব্যবহার করে থাকি, কিন্তু আপনি কি জানেন এই কালির দাগ সহজে দূর করতে সাহায্য করে সাদা টুথপেস্ট। তাই যেখানে কালি লেগে গেছে, সেখানে সাদা টুথপেস্ট খুব ভালো করে লাগিয়ে নিয়ে কিছুক্ষণ পরে কোন পাতলা সুতির কাপড় দিয়ে মুছে নিন, এই কালির দাগ, একেবারে চলে যাবে।
৪) পাতিলেবুর রস – পাতিলেবুর রস দাগ তুলতে সাহায্য করে, পাতিলেবুর রস সামান্য পরিমাণে নিয়ে এই কালো কালির উপরে যদি লাগিয়ে বেশ খানিকক্ষণ রেখে মুছে ফেলতে পারেন, তাহলেও দেখবেন কালো কালির দাগ একেবারে চলে গেছে।
৫) বেকিং সোডা – বেকিং সোডার সামান্য পরিমাণে টুথপেস্ট মিশিয়ে মিশ্রণটি কালো কালির উপরে লাগাতে পারেন, তাহলে দেখবেন, দাগ একেবারে চলে গিয়ে পরিষ্কার হয়ে গেছে।
সতর্কীকরণ– উপরে উল্লেখিত কোনো উপাদানে অ্যালার্জি থাকলে ব্যবহারের আগে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়া উচিত। এছাড়াও কোনো রকম সমস্যা এড়াতে আগে চিকিৎসকের সঙ্গে অবশ্যই কথা বলুন।
