whatsapp channel

Bollywood: হেমা মালিনীকে শাস্তি দিয়েছিলেন ধর্মেন্দ্রর স্ত্রী প্রকাশ

হেমা মালিনী (Hema Malini) যখন বলিউডে এসেছিলেন, সেই সময় অনেকেই তাঁকে দেখে বলেছিলেন, নায়িকা হওয়া অসম্ভব। কিন্তু লড়াই করেছিলেন হেমা। বলিউডের মাটিতে প্রতিষ্ঠিত করেছিলেন নিজেকে। এখনও তিনি এভারগ্রিন। হিট ফিল্ম…

Avatar

Nilanjana Pande

হেমা মালিনী (Hema Malini) যখন বলিউডে এসেছিলেন, সেই সময় অনেকেই তাঁকে দেখে বলেছিলেন, নায়িকা হওয়া অসম্ভব। কিন্তু লড়াই করেছিলেন হেমা। বলিউডের মাটিতে প্রতিষ্ঠিত করেছিলেন নিজেকে। এখনও তিনি এভারগ্রিন। হিট ফিল্ম ‘ড্রিমগার্ল’-এর দৌলতে ড্রিমগার্ল নামে পরিচিত। কিন্তু ব্যক্তিগত জীবনে কোনোদিনই নিজের স্থান তৈরি করতে পারলেন না হেমা।

হেমা যখন বলিউডে কেরিয়ার শুরু করেছেন, ধর্মেন্দ্র (Dharmendra) সেই সময় খ্যাতির মধ্যগগনে। তাঁর চোখে পড়ে গিয়েছিলেন হেমা। কিন্তু বলিউডে আসার আগেই বিয়ে হয়ে গিয়েছিল ধর্মেন্দ্রর। তাঁর স্ত্রী প্রকাশ কৌর (Prakash Kaur Deol) পঞ্জাবের গ্রামের মেয়ে। প্রকাশ ও ধর্মেন্দ্রর দুই ছেলে সানি (Sunny Deol) ও ববি (Bobby Deol) বেশ ছোট। হেমাকে বিয়ের প্রস্তাব দিলেন ধর্মেন্দ্র। কিন্তু বিবাহিত পুরুষের সাথে সম্পর্কে জড়াতে চাননি হেমা। জিতেন্দ্র (Jeetendra)-র সাথে বিয়ের কথাও পাকা হয়ে গিয়েছে।

ধর্মেন্দ্র জানতেন সেই কথা। তবু নাছোড়বান্দা ছিলেন তিনি। নির্দিষ্ট দিনে জিতেন্দ্র ‘বারাত’ নিয়ে পৌঁছে গেলেন হেমার বাড়ি। ড্রিমগার্ল তখন কনের সাজে সজ্জিতা। বিয়ের অনুষ্ঠান সবেমাত্র শুরু হয়েছে। প্রায় মদ্যপ অবস্থায় বিবাহ স্থলে প্রবেশ করলেন ধর্মেন্দ্র। সোজাসুজি জানালেন, তিনি হেমাকে ছাড়া বাঁচবেন না। এরপর একটি বন্ধ ঘরে দীর্ঘ ক্ষণ চলেছিল ধর্মেন্দ্র ও হেমার কথোপকথন। ছিলেন জিতেন্দ্রও। সেদিন কি কথা হয়েছিল তা আজও জানা যায়নি। কিন্তু কান্নায় ভেঙে পড়েছিলেন হেমা। অপরদিকে ‘বারাত’ নিয়ে ফিরে গিয়েছিলেন জিতেন্দ্র।

পরবর্তীকালে প্রকাশও জানতে পেরেছিলেন, তাঁর স্বামী হেমার প্রতি অনুরক্ত। হেমার সাথে তাঁরও বিভিন্ন অনুষ্ঠানে দেখা হত। ছিল সৌজন্যমূলক সম্পর্ক। ধর্মেন্দ্রকে আটকানোর কোনো চেষ্টা করেননি প্রকাশ। তাঁর সাথে বিবাহ বিচ্ছেদ না করে মুসলমান ধর্ম গ্রহণ করে হেমাকে বিয়ে করেছিলেন ধর্মেন্দ্র। অদ্ভুত ভাবে সেদিন ধর্মেন্দ্রর পাশে দাঁড়িয়ে প্রকাশ বলেছিলেন, হেমা এতটাই সুন্দরী, যে কোন পুরুষ তাঁকে জীবন সঙ্গিনী হিসাবে পেতে চাইবেন। কিন্তু নাটকের যবনিকা পতন এখানে হয়নি।

প্রকাশ বিরোধী ছিলেন তাঁর স্বামীকে চরিত্রহীন বলার। এত বড় ঘটনার পরও বুদ্ধিমতী প্রকাশ তাঁর স্বামী ধর্মেন্দ্রর পাশে দাঁড়িয়ে নিজের অধিকার বুঝিয়ে দিয়েছিলেন নিঃশব্দে। ব্রাত্য করে দিয়েছিলেন হেমাকে। ধর্মেন্দ্রর সাথে বিতর্কিত বিয়ের বন্ধনে বাঁধা পড়ার পর হেমার সাথে আজও দেখা করেননি প্রকাশ। তাঁর বাড়ির চৌহদ্দিতে প্রবেশের অধিকার নেই হেমার। এমনকি ধর্মেন্দ্রর গ্রামে তাঁর সমগ্র পরিবারের তরফে হেমা পাননি বাড়ির বৌয়ের মর্যাদা। ধর্মেন্দ্রর পৈতৃক ভিটেতে তাঁকে প্রবেশের অধিকার দেননি ধর্মেন্দ্রর পরিবার। প্রকাশ মুখে যাই বলুন না কেন, নিঃশব্দেই হেমা ও ধর্মেন্দ্রকে বিশ্বাসভঙ্গের শাস্তি দিয়েছেন তিনি।

whatsapp logo