whatsapp channel

Tiyasha Lepcha: দাম্পত্য জীবন সুখের ছিলনা, বিস্ফোরক ‘কৃষ্ণকলি’!

তিয়াশা লেপচা (Tiyasha Lepcha) খুব শীঘ্রই আবারও ফিরতে চলেছেন ছোট পর্দায়। স্টার জলসার নতুন সিরিয়াল 'বাংলা মিডিয়াম'-এ দেখা যাবে তাঁকে। একসময় জি বাংলার জনপ্রিয় ডেইলি সোপ ‘কৃষ্ণকলি’-র মাধ্যমে অভিনয় জগতে…

Avatar

Nilanjana Pande

তিয়াশা লেপচা (Tiyasha Lepcha) খুব শীঘ্রই আবারও ফিরতে চলেছেন ছোট পর্দায়। স্টার জলসার নতুন সিরিয়াল ‘বাংলা মিডিয়াম’-এ দেখা যাবে তাঁকে। একসময় জি বাংলার জনপ্রিয় ডেইলি সোপ ‘কৃষ্ণকলি’-র মাধ্যমে অভিনয় জগতে পরিচিতি লাভ করেছিলেন তিয়াশা। এই সিরিয়াল চলাকালীন বিতর্কিত হয়েছিল তাঁর জীবনও। তিয়াশার বিবাহ বিচ্ছেদ হয়ে গিয়েছিল সুবান রায় (Suban Roy)-এর সাথে। তাঁর সাথে কামারহাটির বিধায়ক মদন মিত্র (Madan Mitra)-র নাম জড়িয়েছিল। এমনকি তিয়াশার সাথে শাসক দলের ওঠা-বসা ও তাঁর পরকীয়ার গুজবকে দায়ী করা হয়েছিল তাঁর বিবাহ বিচ্ছেদের কারণ হিসাবে। কিন্তু এবার ‘জোশ টকস’-এর মঞ্চে এই প্রসঙ্গে মুখ খুললেন তিয়াশা।

গোবরডাঙার সাধারণ পরিবার থেকে উঠে এসেছেন তিয়াশা। তিনি নিজেকে ডাউন টু আর্থ রাখতে চাইলেও তাঁর আশেপাশের মানুষগুলি মনে করেন, তিয়াশার অ্যাটিটিউড রয়েছে। কারণ তাঁদের ধারণা তিয়াশা অভিনেত্রী হওয়ার কারণে তাঁর হাসি-কান্নাও অভিনয়। কিন্তু অভিনেতা-অভিনেত্রীদেরও মন আছে বলে মনে করেন তিনি। তিয়াশা জানালেন, সকলে কাজ পাওয়ার জন্য লড়াই করেন। কিন্তু তাঁর লড়াইটা শুরু হয়েছে চার বছর ধরে লাগাতার হিট সিরিয়াল ‘কৃষ্ণকলি’ শেষ হয়ে যাওয়ার পর। বর্তমানে নিজেকে প্রমাণ করার লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন তিয়াশা।

অপরদিকে তিয়াশার আত্মীয়-স্বজনদের মতে, একসময় সুবানের হাত ধরে উঠে এসে বর্তমানে সুবানকেই সরিয়ে দিয়েছেন তিনি। কিন্তু তিয়াশা কৃতজ্ঞ সুবানের কাছে। কারণ সুবানই তাঁকে ইন্ডাস্ট্রিতে নিয়ে এসেছিলেন। অ্যাকশন, কাট ও খুঁটিনাটি শেখা তাঁর কাছেই। ‘জোশ টকস’-এর মঞ্চ থেকেই সুবানকে ধন্যবাদ জানালেন তিয়াশা। তবে ‘ছেড়ে দেওয়া’ কথাটিতে আপত্তি রয়েছে তাঁর। কারণ বিবাহ বিচ্ছেদ হয়েছিল দুই জনের সম্মতিতে। তিয়াশার মতে, এখনও অবধি বিবাহ বিচ্ছেদের জন্য মেয়েদের দায়ী করা হয়। এই কারণেই সমাজ পিছিয়ে রয়েছে।

সমাজের নীতিবাগীশদের কাছে তিয়াশার অনুরোধ, নিজেদের মতামত অন্যদের উপর চাপিয়ে দিয়ে তার জীবনটা যাতে ধ্বংস করে না দেওয়া হয়। তিয়াশা ও সুবানের বিবাহ বিচ্ছেদের কারণ হিসাবে বারবার তাঁকে দায়ী করার কারণে মানসিক অবসাদ ঘিরে ধরেছিল তাঁকে। একা কাঁদতেন তিনি, খেতে ইচ্ছা হত না। কিন্তু একসময় নিজেই উঠে দাঁড়িয়েছেন তিয়াশা, ভালো থাকতে শিখে গিয়েছেন। তিয়াশা সতর্ক করলেন সমাজকে। তিনি বললেেন, যাদের উদ্দেশ্যে সমাজ নিজেদের সিদ্ধান্ত ছুঁড়ে দিচ্ছে, তারাও হয়তো মানসিক অবসাদগ্রস্ত হয়ে নিজেকে শেষ করে দেওয়ার মতো বড় সিদ্ধান্ত নিচ্ছে যা জানতে পারছেন না সমাজের নীতিবাগীশরা।

সুবান তাঁকে প্ল্যাটফর্ম দিলেও লড়াইটা কিন্তু তাঁর নিজের ছিল। এই কারণে তিয়াশা আশাবাদী, হয়তো চারপাশের মানুষগুলির মানসিকতার পরিবর্তন ঘটাতে পারবেন তিনি। বর্তমানে ‘রায়’ নয়, তিনি চান, তাঁকে সবাই চিনুক ‘লেপচা’ পদবীর মাধ্যমে, ‘তিয়াশা লেপচা’ যা তাঁর প্রকৃত পরিচয়।

whatsapp logo