আত্মহত্যার পর সুশান্তের ফিঙ্গারপ্রিন্ট দিচ্ছে কিসের ইঙ্গিত!
ময়নাতদন্তের রিপোর্টে স্পষ্ট করে বলা হয়েছে, অভিনেতার শরীরে কোনো আঘাতের চিহ্ন নেই, তাঁর নখ ও পরিষ্কার ছিল
অভিনেতা সুশান্ত সিং রাজপুতের দ্বিতীয় ময়নাতদন্তের রিপোর্ট প্রকাশ করল মুম্বই পুলিশ। এই রিপোর্টেও স্পষ্ট করে বলা হয়েছে যে গলায় ফাঁস লাগার কারণেই দমবন্ধ করে অভিনেতার মৃত্যু হয়েছে। এই রিপোর্টে পাঁচজন চিকিৎসক সই করেছেন। অভিনেতার ভিসেরা সংরক্ষণ করে তা রাসায়নিক পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে।
এর আগে সুশান্তের ময়নাতদন্তের রিপোর্টেও গলায় ফাঁস লেগে দমবন্ধ হয়ে মৃত্যু হয়েছে বলা হয়েছিল। তখন সেই রিপোর্টে তিনজন চিকিৎসক সই করেছিলেন। তাঁর ফরেনসিক পরীক্ষার রিপোর্ট ও দ্রুত চলে আসবে বলে জানা গেছে। ইতিমধ্যেই ফরেনসিক রিপোর্টের জন্য মুম্বই পুলিশ ফরেনসিক বিভাগে চিঠি পাঠিয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্টে স্পষ্ট করে বলা হয়েছে, অভিনেতার শরীরে কোনো আঘাতের চিহ্ন নেই, তাঁর নখ ও পরিষ্কার ছিল। সুতরাং তিনি আত্মহত্যাই করেছিলেন বলে রিপোর্টে উল্লেখ আছে।
সুশান্তের মৃত্যু মামলায় এখনও পর্যন্ত মুম্বই পুলিশ ২৩ জনকে জেরা করেছেন। যেই ২৩ জনের বিবৃতি রেকর্ড করা হয়েছে, তাঁরা হলেন- সুশান্তের বাবা ও তিন দিদি, বন্ধু সিদ্ধার্থ পিঠানি, রাঁধুনি, পরিচারক, চাবিওয়ালা, ক্রিয়েটিভ কন্টেন্ট ম্যানেজার, বিজনেস ম্যানেজার, প্রথম সিরিয়ালের পরিচালক, মুকেশ ছাবরা, চার্টাড একাউন্টেন্ট সঞ্জয় শ্রীধর ও বান্ধবী রিয়া চক্রবর্তীকে। তবে অনেকেই সুশান্তের মৃত্যু নিয়ে সিবিআই তদন্তের দাবি করছেন। এখনও পরিষ্কার হয়নি অভিনেতার মৃত্যু রহস্য। তাই তদন্ত চলছে।