ইংরেজিতে অগাধ জ্ঞান সঙ্গে PhD ডিগ্রী, অভাবে সবজি বেচছেন এই মেধাবী মহিলা
গোটা বিশ্ব জুড়ে করোনা ভাইরাস এর জন্য অনেকেই কাজ হারিয়েছেন। দেশে তো বটেই গোটা বিশ্বের অর্থনৈতিক অবস্থা একেবারে তলানিতে এসে ঠেকেছে। লকডাউন উঠে যাওয়ার পরেও আবার অনেক জায়গাতেই নতুন করে লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে। কাজ হারিয়েছেন বহু মানুষ। বারবার লকডাউনের হওয়াতে অনেকেই অনেক বিপদের সম্মুখীন হচ্ছেন। আর সরকারের এই লকডাউনকে সমালোচনা করেছেন এক সবজি বিক্রেতা। যদিও এই সমালোচনার ভাষা ছিল ইংরেজিতে। সবজি বিক্রেতা অনর্গল ইংরেজি ভাষায় সমালোচনা করে যাচ্ছেন তাও আবার আমাদের দেশে, যা সত্যিই অবাক করা কান্ড বটে। বিদেশের মাটিতে দাঁড়িয়ে তারা ইংরেজি ভাষায় অনর্গল কথা বলবেন, এটাই স্বাভাবিক কিন্তু ইন্দোরের এই সবজি বিক্রেতা সাবলীল ভঙ্গিতে ইংরেজিতে কথা বলে যাচ্ছেন। এমন ঘটনা সোশ্যাল মিডিয়ায় রীতিমত ভাইরাল হয়ে গেছে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, এই মহিলা সবজি বিক্রেতা পি.এইচ.ডি ডিগ্রিধারী। চাকরি না পাওয়ায়, পেটের তাগিদে সবজি বিক্রি করতে বাধ্য হয়েছেন তিনি। শুধু তাই নয়, এর মধ্যে প্রশাসনের তরফ থেকেও এসেছে নানান রকম বাঁধা। তারা চাননি তিনি সবজি বিক্রি করেন। এমনিতেই লোকজনের জন্য তেমন লোকজনের আনাগোনা নেই, এর ওপর প্রশাসন যদি তুলে দিতে চান তাকে, তাহলে তার কিভাবে সংসার চলবে? তার এই মনের দুঃখের কথায় তিনি গড়গড়িয়ে ইংরেজিতে বলে চলেছেন।
২০১১ সালে আলিয়া ইউনিভার্সিটি থেকে পদার্থবিদ্যায় পি.এইচ.ডি করেছেন তিনি। তিনি বেসরকারি চাকরি করতে চাননি চেয়েছেন সরকারি চাকরি করতে। তার দুঃখের কথা জানাতে গিয়ে তিনি বলেছেন তিনি যে জাতিতে মুসলিম তাকে কে চাকরি দেবে! শুধু তাই না, এমন গুজব উঠেছে যে মুসলিমরা নাকি করোনা ছড়াচ্ছে। এমন কথা জানার পরে কি তাকে চাকরি দেবেন? দুঃখের সঙ্গে এমন অভিযোগ জানিয়েছেন রায়সা আনসারী নামে এই সবজি বিক্রেতা।