whatsapp channel

রহস্যময় শহরে বাস করে না কেউই! মরুভূমির বুকে এক পরিত্যক্ত ভুতুড়ে শহর কুলধারা

ভারতের মধ্যে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে বহু ভুতুড়ে জায়গা। যেসব জায়গায় রহস্য আজও বিজ্ঞানের পক্ষে উদঘাটন করা সম্ভব হয়নি। ভুতুড়ে জায়গা অনেক অস্তিত্বই পাওয়া গেছে রাজস্থানে। রাজস্থান তার মরু শহরের জন্য…

Avatar

HoopHaap Digital Media

Advertisements
Advertisements

ভারতের মধ্যে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে বহু ভুতুড়ে জায়গা। যেসব জায়গায় রহস্য আজও বিজ্ঞানের পক্ষে উদঘাটন করা সম্ভব হয়নি। ভুতুড়ে জায়গা অনেক অস্তিত্বই পাওয়া গেছে রাজস্থানে। রাজস্থান তার মরু শহরের জন্য এবং এখানে অবস্থিত নানান রকম রাজপ্রাসাদ দূর্গ এসবের জন্য এক অসাধারণ দর্শনীয় স্থান হিসাবে মানুষের মনে জায়গা করে নিয়েছে। রাজস্থানে বেড়াতে যাননি এমন মানুষ হয়তো কম দেখা যাবে। কিন্তু আপনি যদি কোনদিন রাজস্থানে বেড়াতে না গিয়ে থাকেন তাহলে ভবিষ্যতেও ভুলে গিয়েও রাজস্থানের এই শহরটিতে পা বাড়াবেন না। কারণ এই শহরটি এখনো অভিশপ্ত ভুতুড়ে শহর হিসাবেই পরিচিত। শহরের মধ্যে পা রাখলে এখনো গা ছমছম করে ওঠে।

Advertisements

রাজস্থানের বিখ্যাত জয়সালমীর আমাদের প্রত্যেকেরই চেনা শহর। এই জয়সলমীর থেকে কিছুটা দূরে এই পরিত্যক্ত শহর। ইতিহাসের পাতা থেকে জানা যায়, এই শহরে একবার কেউ গেলে সে আর প্রাণ নিয়ে ফিরে আসতে পারেন না। এই শহরের নাম কুলধারা। জয়সালমীর থেকে মাত্র ১৫-১৭ কিলোমিটার গেলেই দেখা মিলবে এই অভিশপ্ত ভুতুড়ে শহর। শহরটি একেবারে জনমানব শূন্য। আসলে প্রাণ নিয়ে এখানে থাকার কেউ সাহস দেখাতে পারেন না। তবে কেন এমন ভুতুড়ে শহরে পরিণত হলো! এর উত্তর খুঁজতে গেলে আমাদের অনেকটা বছর আগে পিছিয়ে যেতে হবে।

Advertisements

ঘটনাটা ঘটে আজ থেকে প্রায় ৩০০ বছর আগে। সেই সময় এই শহরটি তৈরি করেছিলেন পালিওয়াল ব্রাহ্মণরা। এই শহরটি তার ব্যবসা-বাণিজ্যের ক্ষেত্রে বেশ সুনাম অর্জন করেছিল। শুধু তাই নয়, আশেপাশের গ্রামেও এই গ্রামের খ্যাতি মুখে মুখে ফিরে ছিল। গ্রামের স্থানীয় পরিষদের এক সদস্যের গ্রামের প্রধানের মেয়ের দিকে নজর। সে গ্রামবাসীদের জানায় এই মেয়েকে যদি তার হাতে তুলে দেওয়া না হয় তাহলে পুরো গ্রামকে এর ভোগান্তি পেতে হবে। কিন্তু নিজেদের আত্মসম্মান বাঁচানোর জন্য তারা গ্রাম ছেড়ে চলে যায় এবং এই গ্রামের মাটিকে অভিশাপ দিয়ে যায়। সেই শেষ বসতি এরপরে নতুন করে এই জায়গায় আর কেউ বাড়িঘর তৈরি করতে পারেনি। যারা একটু সাহস করে আবাসস্থল গড়ে তুলতে চেয়েছেন তাদেরই হাতছানি দিয়েছে নিশ্চিত মৃত্যু। রাত্রিবেলা হঠাৎ করেই আর্ত চিৎকার শোনা যায়। মাঝে মাঝেই সেই জায়গার তাপমাত্রা কমে যায়। অদ্ভুতুড়ে কাণ্ড সেখানে এখনো ঘটে চলে। যার কোনো বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা নেই। এখানে ভূত থাকুক বা না থাকুক বা আপনি এই সমস্ত ভুতুড়ে গল্পে বিশ্বাস করুন বা না করুন অতিরিক্ত সাহস দেখানো বোধ হয় কুলধারার ক্ষেত্রে ঠিক হবেনা।(এই প্রতিবেদনটি প্যারানরমাল অ্যাক্টিভিটিস্টদের সমীক্ষা অনুযায়ী বর্ণিত, কোনোরকম ভীতিকে প্রশ্রয় দেওয়া আমাদের উদ্দেশ্য নয়।)

Advertisements
whatsapp logo
Advertisements
Avatar
HoopHaap Digital Media